
একদিকে উৎসবের মরসুম। অপরদিকে অগ্নিমূল্য বাজারদর। ভোজনপ্রিয় বাঙালির পাতে পড়েছে টান। লক্ষ্মীপুজোর পর থেকে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে অনেক শাক-সবজি। তার ওপর পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির জের এখনও চলছে । তার ফলেই মাছ-মাংস, শাক-সবজির দাম বেশ কিছুটা বেড়েছে বলেই দাবি ক্রেতা থেকে বিক্রেতা সকলের।
রবিবারের বাজারে বিভিন্ন সবজির কেজিপ্রতি দাম ছিল এইরকম। আলু ২০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, পেঁয়াজ ৫০ টাকা, বেগুন ৯০-১০০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি যথাক্রমে ৫০-৬০ এবং ৫০ টাকা। টমাটোর দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০ টাকা প্রতি কেজি। এছাড়া ক্যাপসিকাম ১৫০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা প্রতি কেজি।
অন্যদিকে মাছের দামও বাড়ছে লাগামছাড়া। মাছে-ভাতে বাঙালির পাতে উঠছে না মাছ। ইলিশকাল শেষের পথে। তবুও কমছে না ইলিশের দাম। ১ কেজি ওজনের ইলিশের দাম ১৮০০ টাকা। অন্যান্য মাছের কেজিপ্রতি দাম এইরকম। গলদা চিংড়ি ৭০০-৭৫০, পারসে ৫০০ টাকা, পাবদা ৫০০ টাকা, কাতলা ৪০০ টাকা, ভেটকি ৫০০ টাকা।
উল্লেখ্য, ভোজ্যতেলের দামও বেড়ে চলেছে হু হু করে। এই বিষয়ে এক ক্রেতা জানান, "একটু বেশিই যেন বাড়ছে। আগেরদিন এক দামে কিনলাম। পরেরদিন ২০ টাকা বেড়ে গেল। এতটা বৃদ্ধি হওয়ার কি কোনও যুক্তি আছে? প্রশাসনের এবার আরও একটু সজাগ হওয়া উচিত। বাজারগুলির ওপর কড়া নজরদারি চালানো দরকার। প্রশাসনের সাহায্য চেয়ে আরও এক ক্রেতা বলেন, " নজরদারি বাড়ালে খুবই ভালো হয়। আমাদের মতো মধ্যবিত্তের দিকটা সরকারের একটু ভেবে দেখা উচিত।"
এক সবজি বিক্রেতা জানান, বৃষ্টির পর থেকেই বাজারে সবজির দাম বেড়েছে। চাষের জমিতে জল জমে শাক-সবজি অনেক নষ্ট হয়ে গেছে। বাজারে মাল আসছে না। তাছাড়া উৎসবের মরসুম বলেও দাম খানিকটা বেশি। পরিস্থিতি ঠিক থাকলে ১৫ দিনের মধ্যে বাজারদর কমবে।" এক মাছ বিক্রেতা জানান," মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে। তার অন্যতম কারণ, পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়েছে। ফলে গাড়ির খরচ বেড়েছে। মালও কম আসছে। তার ওপর কাস্টমার নেই। বাজারের অবস্থা খুবই খারাপ।"