
২৮/১ থিয়েটার রোড। গঙ্গা-যমুনা অ্যাপার্টমেন্ট। অভিজাত এলাকা। আর সেখানেই ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা।
ছেলে অভয় চৌধুরী তাঁর ৯১ বছর বয়স্ক মায়ের সঙ্গে থাকতেন এই ফ্ল্যাটে। সকাল ১০ টা। ছেলে ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়েছিলেন ১০ তলার ছাদে। এর ঠিক নিচের তলাতেই তাঁরা থাকতেন। ছাদ থেকে ফিরে এসে দেখেন, বিছানায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় শুয়ে আছেন মা। নাকের পাশ থেকে রক্ত বেরচ্ছে। ডাক্তার ডেকেও কোনও লাভ হল না। এই ধরনের ঘটনাকে তিনি স্বাভাবিক বলে মেনে নিতে পারেননি। এর পিছনে যে কোনও রহস্য আছে, সেটাও তাঁর কাছে পরিষ্কার হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন পুলিসে।
পুলিস এসে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করে এবং মৃতদেহটি পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। পুলিস জানিয়েছে, মৃতার নাম রেণুকা চৌধুরী। পরে জানা যায়, বৃদ্ধার গা থেকে খোয়া গেছে নেকলেস, হাতের বালা এবং দুটি মোবাইল ফোন। এই রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস। প্রাথমিক খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, বড় ছেলে কর্মসূত্রে বিদেশে থাকেন। এই ঘটনাকে পুলিসও প্রাথমিকভাবে খুন বলেই মনে করছে। কারণ নাকের পাশে রক্তের পাশাপাশি বিছানাতেও রক্তের দাগ মিলেছে। সকালে কোনও সন্দেহজনক ব্যক্তি এই আবাসনের ভিতর ঢুকেছিলেন বা আবাসন থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন কি না, সে ব্যাপারেও খোঁজখবর চালানো হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে তেমন কোনও তথ্য মেলেনি। পুলিসের শীর্ষকর্তারা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বিষয়টি কিছুটা পরিষ্কার হবে। পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ এবং সব বিষয় নজরে রেখেই তদন্ত চালানো হচ্ছে।
ছেলে পুলিসকে জানিয়েছেন, মা একটি ঘরে একাই থাকতেন। মায়ের সঙ্গে তাঁর অনেকক্ষণ কোনও যোগাযোগ হয়নি। সকাল সাড়ে ৭ টা নাগাদ যখন তাঁর খোঁজ শুরু করেন, তখনই ওই ঘটনা তাঁর নজরে আসে।
পর্ণশ্রীর জোড়াখুন। গড়িয়াহাট জোড়াখুন। নেতাজিনগরে স্বামী তাঁর স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা। শহর কলকাতায় এভাবে একের পর এক অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে।