
মঙ্গলবার দুটি উৎসব গেল। ইদ এবং অক্ষয় তৃতীয়া। কিন্তু কোনও খবরে তেমন খাওয়াদাওয়ার ছবি পাওয়া গেল না। যাবেটা কী করে, যা দাম! জানাচ্ছেন এক সিনিয়র সিটিজেন। পেট্রোলিয়াম সামগ্রীর দাম আকাশছোঁয়া, নিয়মিতহারে বেড়েই চলেছে। প্রধানমন্ত্রী দুষছেন রাজ্যকে, রাজ্য কেন্দ্রকে। এই ডুয়েলের মধ্যে নাজেহাল আমজনতা।
এটা তো বাস্তব, পেট্রোলিয়াম সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি মানেই সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উপর তার প্রভাব পড়া। এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে কিংবা নিজের রাজ্যে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় খাদ্যসামগ্রী ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে সচল থাকে। ফলে গোটা ভারতেই এই মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়তে বাধ্য। আজ আলুর দাম কলকাতা ও নিকটবর্তী অঞ্চলে ৪০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৩০ টাকা। এই দুটি সবজি নিত্য মানুষের পাতে পড়ে। দামের নমুনা যদি এই হয়ে যায়, তবে মানুষ খাবে কী? প্রতি বছর অদ্ভুত কারণে আলুর দাম আকাশচুম্বী হয়। এরপর নড়েচড়ে বসে সরকার। শেষ পর্যন্ত কোল্ড স্টোরেজ থেকে আলুর আগমন হয়।
শুধু আলু-পেয়াঁজ বলে নয়, প্রতিটি শাকসবজির দাম অসম্ভব রকম বেড়ে গিয়েছে। অন্যদিকে মাছপ্রিয় বাঙালির পাতে আজ মাছ কোথায়? তেলাপিয়া কিংবা নাইলনটিকা জাতীয় সস্তার মাছ যা কিনা অনেক বাঙালির অপছন্দ, তার দামও ২৫০ টাকা কেজি হয়েছে। পাশাপাশি দুধের দাম বেড়েছে। ফলে সেটাও একটা চাপ। কলকাতার বিভিন্ন বাজারে তবু কিছু সস্তার মাছ, তরিতরকারি পাওয়া গেলেও মফসসল বা গ্রামে দাম কিন্তু কম নয়। আজ থেকে ৭-৮ বছর আগে যে কোনও বিয়েবাড়িতে ক্যাটারার দিয়ে ভালো খাওয়াতে গেলে প্লেট প্রতি বড়জোর ৪০০ টাকা খরচ হত। আজ সাদামাটা প্লেটের মূল্য ৭০০ টাকায় গিয়ে পৌঁছেছে, মানুষ খাওয়াবে কী? মিষ্টির দাম দ্বিগুণ, কোথাও তিনগুণ হয়েছে। বাঙালির মিষ্টি খাওয়ার বাসনা গিয়েছে। রসনার স্বাদ, বাসনায় বাঁধা পড়েছে।