ফের শহরের বুকে গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনা! ঘরের মধ্যে পড়ে স্ত্রীর গলা কাটা দেহ। পাশে ঝুলন্ত অবস্থায় স্বামীর দেহ, কাতরাচ্ছেন দু'জনের কন্যা সন্তান। আর এই দেখেই আঁতকে উঠলেন প্রতিবেশীরা। শনিবারের হাড়হিম করার ঘটনাটি বিধাননগরের নারায়ণপুর থানা এলাকার।
সুখী পরিবার বলেই জানতেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু সেই সুখী পরিবারে কি এমন অন্ধকার নেমে এল যার জন্য স্বামী, স্ত্রী দুজনকেই মৃত অবস্থায় তাঁদের আবাসনে পাওয়া গেল। শনিবার দুপুরে নারায়ণপুর থানার ১০০ গজের মধ্যে অবস্থিত এক বহুতল আবাসনের নিচতলা থেকে উদ্ধার হল স্ত্রীর গলা কাটা রক্তাক্ত দেহ আর তার পাশাপাশি উদ্ধার স্বামীর ঝুলন্ত দেহ। নারায়ণপুর অঞ্চলের এই ঘটনায় স্তম্ভিত স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সাগর মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রী রূপা মুখোপাধ্যায়কে গলা কেটে খুন করার পর তাঁর কন্যা সন্তানেরও গলা কাটেন। এরপর নিজে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আবাসনের নিচের তলার ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর দেহ উদ্ধার করে। তবে তাঁদের কন্যা সন্তান জীবিত থাকায় তাকে চিনারপার্ক সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সেখানেই সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান স্থানীয় বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় ও বিধাননগরের কমিশনার সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ী সাগর মুখোপাধ্যায় কেন এই কাজ করলেন, বা এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে আছে কিনা তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। দেহ দুটিকে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। সেই রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর আসল কারণ সামনে আসবে।