কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ মতো তাঁর আয়ের উৎস, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের (Leaps and Bounds) ডিরেক্টর পদ নিয়ে একাধিক নথিপত্র অবশেষে জমা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই বিষয়ই ইডির আইনজীবী আদালতে বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে জানাতেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় ইডিকে। বিচারপতি অমৃতা সিনহার প্রশ্ন, 'এত ডকুমেন্ট এল কীভাবে? কিছু না থাকলে এত ডকুমেন্ট আসে কি? এত সম্পত্তি ২০১৪-এর পরে কীভাবে? তদন্ত করে দেখা হয়েছে?' ফলে একবার ফের লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-এর সঙ্গে অভিষেকের যোগসূত্র নিয়ে প্রশ্ন করতে দেখা গেল বিচারপতি সিনহাকে।
মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নথিপত্র জমা দেওয়ার পরই আদালতে তা জানানো হয়। এরপরই এদিন আদালতে অমৃতা সিনহা প্রশ্ন করেন, "এত ডকুমেন্ট এল কীভাবে? কিছু না থাকলে এত ডকুমেন্ট আসে কি? সেগুলি খতিয়ে দেখেছেন? কোথা থেকে এল? এত টাকার উৎস কি সেটা দেখেছেন? সব সম্পত্তি ২০১৪ পরে কীভাবে? এত অল্প সময় কীভাবে হল? আবার নিয়োগ দুর্নীতিও একই সময়। কোনও যোগসূত্র আছে কি?" এসব ব্যাপারে তদন্তকারী সংস্থাকে খোঁজ নিতে বলা হয়।
এরপরই ইডির আইনজীবী জানিয়েছেন, "ইডি খতিয়ে দেখছে। সাংসদ জানিয়েছেন কোন কোম্পানি, সেটি কী প্রস্তুত করে ইত্যাদি লেখা হয়েছে। আমরা যখন দেখি আর্থিক দুর্নীতি, তখন তদন্ত শুরু হয়। সিল কভারে রিপোর্ট দিতে চাই বৃহস্পতিবার।" এরপরই বিচারপতি বলেন, "তদন্ত দ্রুত করুন। অনির্দিষ্টকালের জন্য কাউকে গ্রেফতার করে রাখা যায় না।" ইডির তদন্তে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি। কোন পথে তদন্ত, তা জানতে চায় আদালত। এরপরই বিচারপতির নির্দেশ, ১৪ ডিসেম্বর ইডিকে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট দিতে হবে। ২০ ডিসেম্বর রিপোর্ট জমা দেবে সিবিআইও।
অন্যদিকে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে প্যানেল লিস্ট চাইলে বোর্ড যে যুক্তি খাড়া করেছে তাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি। পর্ষদ থেকে জানানো হয়েছে, পর্ষদের নিয়োজিত সংস্থার আধিকারিকদের গ্রেফতার করেছে তদন্তকারী সংস্থা। তাই আদালতে তথ্য জমা দিতে পারবে না। এই যুক্তি শোনার পরই বিচারপতি ক্ষোভপ্রকাশ করেন ও আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে বোর্ডের কাছে প্যানেল লিস্ট রিপোর্ট আকারে চেয়ে পাঠায় কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি ইডি তদন্তের গতি কোন পর্যায়ে জানতে চেয়েও ১৪ ডিসেম্বর ইডির কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআইকেও তদন্তের রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২০ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।