জয়নগরে তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুনের ঘটনায় এবার পুলিসের জালে মাস্টারমাইন্ড আনিসুর লস্কর সহ মোট ৫ জন। ঘটনার প্রায় ৩ দিন পর আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হল অভিযুক্তদের। পুলিস জানিয়েছে, নদীয়ার হরিণঘাটা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃত ওই ৫ জনকে আনা হল বারুইপুর পুলিস সুপার অফিসে। স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের হাতে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা খুনের পাঁচ অভিযুক্ত।
জয়নগরের (Joynagar) তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সইফুদ্দিন লস্করের খুনের তদন্তে নয়া নয়া তথ্য উঠে আসছে পুলিসের কাছে। প্রকাশ্যে এসেছিল এই খুনের 'মাস্টারমাইন্ড'-এর নাম। পুলিস সূত্রে খবর, এই খুনের নেপথ্যে রয়েছে আনিসুর লস্কর নামে এক ব্যক্তি। অন্যদিকে জয়নগরকাণ্ডে ধৃত শাহরুল শেখ যে 'বড়ভাই'-এর কথা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, জানা গিয়েছে, তাঁর নাম আলাউদ্দিন সাঁপুই। আরও এক তথ্য জানা গিয়েছে যে, সোমবার গুলি চালানোর সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন মোট চারজন। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত শাহরুল শেখ ছাড়াও যার বাইক বাজেয়াপ্ত হয়েছে, দলুয়াখাকির সেই বাসিন্দা মুসিবুর রহমান, আর এক বাসিন্দা জাকির লস্কর এবং যাঁকে পিটিয়ে মারা হয়েছে, সেই সাইবুদ্দিন লস্কর। ফলে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত যাদের নাম উঠে এসেছিল, তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিস। অবশেষে গ্রেফতার হল তারা।
সোমবার ভোরে জয়নগরে তৃণমূল নেতার খুন ও দলুয়াখাকি ঘটনায় তোলপাড় পুরো রাজ্য়। তারপর এই ঘটনার তদন্তে একাধিক চাঞ্চল্যকর বিষয় উঠে এসেছে। তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুনে প্রকাশ্যে এসেছে 'বড় ভাই' আলাউদ্দিন সাঁপুই-এর নাম ও অন্যদিকে জানা গিয়েছে মূলচক্রী আনিসুর লস্করের নাম। পুলিস সূত্রে খবর, বড় ভাই আলাউদ্দিন সাঁপুই মন্দিরবাজার থানা এলাকার টেকপাঁজা গ্রামের বাসিন্দা। এলাকায় সিপিএম নেতা হিসাবেই আলাউদ্দিন পরিচিত। আবার মাস্টারমাইন্ড আনিসুর লস্করের নাম প্রকাশ্যে আসার পর জানা গিয়েছে, তার নাম এফআইআর-এও উল্লেখ রয়েছে। দলুইখাকি গ্রামের সিপিএম কর্মী হিসেবেই পরিচিত আনিসুর লস্কর। এছাড়াও নাসির নামে আরও একজনের নাম পেয়েছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ফলে এই খুনের কাণ্ডে যাদের নাম উঠে এসেছে, তারা প্রত্যেকেই সিপিএমের সমর্থক বলে দাবি তদন্তকারী আধিকারিকদের।
এই ঘটনায় যাদের যাদের নাম পাওয়া গিয়েছিল তাদের খোঁজে, জয়নগর ছাড়াও কুলতলি মন্দিরবাজার, বারুইপুর, ডায়মন্ড হারবার ও কলকাতার বিভিন্ন অংশে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশির কাজে লাগানো হয়েছিল একাধিক থানার পিসি পার্টি ইনচার্জদের। অবশেষে তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হল পুলিস।