ফের প্রকাশ্যে পুলিসের নিষ্ক্রিয়তা। ফের প্রকাশ্যে পুলিসের ইচ্ছামত কাজ। ফের প্রকাশ্যে পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ। ঘটনা বেহালা থানা কেন্দ্র করে। গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে বেহালা বিএল সাহা রোড এবং টালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের সংযোগস্থলে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় অজয় সিং রাজপুত নাম এক যুবক। তবে যে বাইক এসে ধাক্কা মারে, সেই চালক পলাতক। অভিযোগ, পুলিস ছেড়ে দেয় ওই চালককে। বেহালা থানার সামনে বিশাল বিক্ষোভে সামিল মৃতের পরিবার পরিজন।
জানা গিয়েছে, গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে বেহালা বিএল সাহা রোড এবং টালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের সংযোগস্থল দিয়ে অজয় সিং রাজপুত নামে এক যুবক বাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময় উল্টোদিক থেকে দ্রুত গতিতে আরেক বাইক এসে অজয়ের বাইককে ধাক্কা মারে। অজয়কে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। তবে মঙ্গলবার অবশেষে তাঁর মৃত্যু হয়। আর এরপরেই বেহালা থানার উপর চড়াও হয় অজয়ের পরিবার পরিজন।
প্রসঙ্গত, এই দুর্ঘটনা ঘটার পর বেহালা থানার পুলিস অভিযুক্তকে আটক করলেও পরে ছেড়ে দেয়, এমনটাই অভিযোগ মৃতের পরিবারের। আর এই নিয়েই বেহালা থানার পুলিসের উপর ক্ষুব্ধ মৃতের পরিবার পরিজন। যে অভিযুক্ত, সে দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত, ঘটনার এক সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত কীভাবে অভিযুক্তকে ছেড়ে দিল পুলিস, প্রশ্ন তুলছেন মৃতের পরিবার।
তবে কি এটাই এখন পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন? পুলিস মন্ত্রী জানেন? তিনি কি অবগত নন পুলিসের এমন অপ্রত্যাশিত ভূমিকা নিয়ে? নাকি সবটা জেনেও মানুষকে বিচার না পাওয়ার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন খোদ পুলিসমন্ত্রী? উঠছে প্রশ্ন। এই দুর্ঘটনায় মৃতের পরিবার, বন্ধুরা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালে পুলিসের বক্তব্য ১০ মিনিটের মধ্যে তাঁরা অভিযুক্তকে খুঁজে আনবেন। জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই দুজন অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে আসাও হয়েছে। তাহলে কি পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ না দেখালে এ রাজ্যে ন্যায়বিচার হবে না? প্রশ্ন উঠলেও উত্তর অধরা।