
পরপর বিস্ফোরক হাইকোর্টের বিচারপতি (Judge) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। যারপরেই তৃণমূলের নিশানায় বিচারপতি। নিয়োগ দুর্নীতির মূল মাথা অবধি পৌঁছাতে না পারলে, আমি জানি কি করতে হয়। সিবিআই-ইডিকে উদ্দেশ্য করে এমনটাই বললেন বিচারপতি অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বৃহস্পতিবার সিবিআই-ইডির বিরুদ্ধে করা কুন্তলের অভিযোগ নিয়ে বিশেষ নজর দেন। নির্দেশ দেন সিবিআই-ইডিকে নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিস। এমনকি তিনি নির্দেশ দেন, প্রয়োজনে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে কুন্তলের সামনে বসিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি।
নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথমবার বিচারপতির মুখে নাম এলো অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের। যারপরেই তৃণমূলের নিশানায় কুনাল ঘোষ। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার কুনাল ঘোষ একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে কটাক্ষ করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। তিনি লেখেন, 'যদি রাজনীতি করতে হয় চেয়ার ছেড়ে আসুন, চেয়ারে বসে রাজনীতি করবেন না।' এর পরেই নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এ বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, 'তৃণমূল কাউকে সন্মান করতে জানে না, সন্মানীয় বিচারপতিকে এভাবে হুমকি দিয়ে বিচার ব্যাবস্থাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন তৃণমূল।'
পাশাপাশি সোমবার ইডি-সিবিআইয়ের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনি ইডির আধিকারিকদের বলেন, 'নিয়োগ দুর্নীতির '‘মাথা’' তো দূর অস্ত, তদন্তে নেমে দুর্নীতির ‘'কোমর'' পর্যন্ত ঠিকভাবে পৌঁছতে পারেননি। তবে এবার যদি নিয়োগ দুর্নীতির মূল মাথা পর্যন্ত পৌঁছতে না পারে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলি, তা হলে আমি জানি কী করতে হবে।' বৃহস্পতিবার কুন্তলের চিঠির মামলার শুনানি চলাকালীন কড়া বার্তা দিয়ে এমনটাই জানালেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি শুনানি চলাকালীন নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুললেন। বিচারপতির দাবি, নিয়োগ মামলায় যাঁদের এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা ‘দালাল’। অবৈধ ভাবে নিয়োগের টাকা আসলে কোথায় পৌঁছেছে, তা দ্রুত তদন্ত করে বার করার বার্তাও তিনি দিয়েছেন।