
কামারহাটির (Kamarhati) ইএসআই হাসপাতালের এক কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু (Dead Body)। মৃতদেহটি উদ্ধার (Recovery) হয় হাওড়ার গোলাবাড়ি এলাকা থেকে। তবে এই ঘটানায় মৃতার পরিবার খুনের অভিযোগ তুলেছে তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এমনকি পরিবারের লোকেরা মৃতার স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় মৃতদেহটি গোলাবাড়ি থানার পুলিস (Police) উদ্ধার করে কামারহাটি থানায় খবর দেয়। তারপরেই কামারহাটি থানার পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিস। তবে মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কামারহাটি থানার পুলিস। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
প্রাথমিক তদন্ত করে পুলিস জানায়, মৃত ওই ব্যক্তির নাম বিপ্লব বোস। তিনি কামারহাটির ইএসআই হাসপাতালে কাজ করতেন। গত চারদিন আগে নিখোঁজ হয় বিপ্লব। তারপরেই তাঁর স্ত্রী চৈতালী সবকিছু নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যায়। এমনকি নিখোঁজ হওয়ার পর ২১ তারিখ বিপ্লব বোসের মা বেলঘরিয়া থানায় একটি মিসিং ডাইরিও করেন। অবশেষে সোমবার হাওড়া গোলাবাড়ি এলাকা থেকে বিপ্লবের ফোন ট্র্যাক করে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় মৃতার পরিবার জানায়, ১০ বছর আগে বিপ্লবের বিয়ে হয় রাজারহাটের বাসিন্দা চৈতালী ভট্টাচার্যের সঙ্গে। বাড়ির অমতেই মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেন বিপ্লব। তাঁদের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। পরিবারের দাবি, বিয়ের পর থেকেই বিপ্লবের উপর শারীরিক অত্যাচার করতেন স্ত্রী চৈতালী। পরিবারের আরও দাবি, চৈতালী একটি বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত ঝামেলা অশান্তি লেগেই থাকতো তাঁদের দাম্পত্য জীবনে। এমনকি মাঝে মাঝেই এই অশান্তির জন্য বিপ্লব হাসপাতালের কোয়াটারেই থাকতেন। পরিবারের অভিযোগ, ওই বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের জেরেই স্ত্রী চৈতালী খুন করেছে বিপ্লবকে, এমনই অভিযোগ করছে মৃতের পরিবার।