মেয়েকে বিএড কলেজে ভর্তি করতে গিয়ে অনিয়মের খোঁজ। মামলাকারী দেখেছিলেন, কলেজ যেখানে থাকার কথা সেখানে নেই। রয়েছে অন্যত্র। দেখে সন্দেহ হওয়ায় খোঁজ করতে গিয়ে এরকম আরও ছয়টি কলেজের সন্ধান পান মামলাকারী। অভিযোগ, কলেজগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন না নিয়েই ভর্তি নিচ্ছে।
মামলাকারীর আইনজীবী দেবযানী সেনগুপ্তর অভিযোগ, এনসিটিই গাইডলাইন অনুসরণে এইসব কলেজ স্থাপন করা যায়। নিজস্ব বাড়ি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থাকা সেখানে বাধ্যতামূলক। সেগুলি ঠিকঠাক থাকলে তবেই রাজ্য সরকার সেই প্রতিষ্ঠানকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেয়। তারপর সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাফিলিয়েশন বা অনুমোদন দিতে হয়। কিন্তু এই কলেজগুলির ক্ষেত্রে তা অনুসরণ করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় জানায়, এমন অন্তত ১৫ টি কলেজ আছে, যেগুলির অনুমোদনের নবীকরণ পর্ব চলছে এখনও।
সবটা শোনার পর বিচারপতির মন্তব্য, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। সর্বাধিক প্রচারিত একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি সংবাদপত্রে বিশ্ববিদ্যালয়কে দুই সপ্তাহের মধ্যে বিজ্ঞাপন দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়কে উল্লেখ করতে হবে, কোন কোন কলেজের অনুমোদন আছে। স্পষ্টত বিচারপতির নির্দেশ, অনুমোদনহীন কলেজে ছাত্র ভর্তি করা যাবে না। আদালতের নির্দেশে মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ছয় মাস পর।