মনি ভট্টাচার্য: সরকারি স্কুল শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধ করতে, এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ গৃহশিক্ষকরা (Private Tutor)। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে (High Court) রাজ্যের ৩২ জন সরকারি স্কুল শিক্ষকের (Goverment Teacher) বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গৃহশিক্ষকদের একটি সংগঠন গৃহশিক্ষক কল্যাণ সমিতির সদস্যদের দাবি, যারা বেআইনি প্রাইভেট টিউশনে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাদের আরও অভিযোগ, শিক্ষা দফতর, সংশ্লিষ্ট জেলার স্কুল পরিদর্শক ও স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বারবার, এ বিষয়ে জানিয়ে কোনও লাভই হয়নি। তাই এবার অভিযুক্ত সরকারি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে রাজ্যের শীর্ষ কোর্টের দ্বারস্থ তাঁরা।
২০১৮ সালে মার্চ মাসের ৮ তারিখে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দফতর একটি নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, সরকারি স্কুল শিক্ষকরা কোনওভাবেই পয়সার বিনিময়ে গৃহশিক্ষকতা করতে পারবেন না। কিন্তু এই নিয়ম মানা হচ্ছে কই! অভিযোগ সরকারি স্কুল শিক্ষকদের একটি অংশ নির্দ্বিধায় পয়সার বিনিময়ে গৃহশিক্ষকতা করছেন। সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানোর অভিযোগ বারবার আনা সত্ত্বেও, সরকারি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নয় কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে সিএন -ডিজিটালের তরফে শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা, এটা সংশ্লিষ্ট জেলার স্কুল পরিদর্শকের ব্যাপার।'
এই মামলায় গৃহশিক্ষকদের পক্ষে হাইকোর্টের আইনজীবী মুকুল বিশ্বাস বলেন, 'আইনভঙ্গকারী প্রতিটি শিক্ষকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ শিক্ষা দফতরের। শিক্ষক সমাজের মেরুদন্ড। তাঁরা যদি আইন ভাঙ্গে, ছাত্ররা কী শিখবে? এই অবস্থায় শিক্ষা দফতর ধৃতরাষ্ট্র হয়ে থাকতে পারে না।' এ বিষয়ে গৃহশিক্ষক কল্যাণ সমিতি সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক দীপঙ্কর দাস বলেন, 'আমরা সরকারি স্কুল শিক্ষকদের গৃহশিক্ষকতা বন্ধের জন্য ৩২ জনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছি, গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়, বিভিন্ন স্কুলে যুক্ত তাঁরা। এরই প্রতিবাদে সারা রাজ্যজুড়ে পথে নেমে আন্দোলনের ডাক দিয়েছি।'