১০০০ দিনে পড়ল আন্দোলন। প্রতিদিন মেয়ো রোডের ধরনামঞ্চে ধরনা দিচ্ছেন বহু চাকরি প্রার্থীরা। সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষাকর্তারা জেলবন্দি হলেও, বঞ্চনার শেষ কোথায়, তা এখনও বুঝতে পারছেন না বহু চাকরিপ্রার্থী। নিয়োগের জটিলতা কাটেনি এখনও। শনিবার আন্দোলনকারীদের ধরনা মঞ্চে এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখা যায়। মাথা ন্যাড়া করে প্রতিবাদ জানালেন এসএলএসটি মহিলা ও পুরুষ চাকরিপ্রার্থীরা। ১০০০ দিনের প্রতিবাদ জানিয়ে আরও একজন প্রতিবাদকারী মাথার চুল কেটে ফেলেন ধরনা মঞ্চেই।
প্রতিবাদী মহিলা চাকরিপ্রার্থী জানান, “যন্ত্রণার হাজার দিনে আর কোনও পথ খুঁজে না পেয়ে মাথা ন্যাড়াকরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর কী কী করলে আমরা চাকরি পাবো? আশা করব আমাদের এই দুঃখ, যন্ত্রণাময় জীবন এবং আমাদের এই কান্না মুখ্যমন্ত্রীকে স্পর্শ করবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে এ বিষয়ে দ্রুত হস্তক্ষেপ নেন, এটাই আমাদের একমাত্র দাবি। আমরা আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই পাইনি। সংসার ছেড়ে ধরনামঞ্চে বসে আছি। পাচ্ছি না কিছুই।” অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধরনামঞ্চে আসার দাবিও জানান এসএলএসটি আন্দোলনকারীরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। পরীক্ষায় পাশ করেও চাকরি পাননি অনেকেই। যার নেপথ্যে বিপুল দুর্নীতি বলেই দাবি আন্দোলনকারীদের। নিয়োগের দাবিতে ঘরবাড়ি ছেড়ে এক হাজার দিন ধরে রাস্তায় রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। কখনও মুখে কালি মেখে, আবার কখনও খালি গায়ে প্রতিবাদে বসেছেন আন্দোলনকারীরা। হকের চাকরির দাবিতে এবার মাথা মুড়িয়ে প্রতিবাদ মহিলা চাকরিপ্রার্থীদের।চাকরিপ্রার্থীদের এই দীর্ঘ আন্দোলনের নজির ভূ-ভারতে বিরল। হয়তো আগামী দিনে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিতে পারে এই আন্দোলন। তবে এ যে ছবি লজ্জার তা বলার অপেক্ষা রাখে না।