কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের মৃত্যুর ঘটনায় আদালত (Court) সাফ জানিয়ে দিল, পুলিসের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের (Mrityunjoy Barman)। সেই ঘটনায় এবার ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের দরকার নেই বলে জানিয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ঘটনার তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দিয়েছেন। আগামী ১২ মে এবিষয়ে সিআইডিকে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। রাজ্যের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, পুলিসের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের।
বিচারপতি আরও জানিয়েছেন, ঘটনায় যেহেতু জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে, তাই তারাও চাইলে রিপোর্ট জমা দিতে পারে। গত ২১ এপ্রিল দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের পর খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কালিয়াগঞ্জ। পুলিসের ওই ছাত্রীর মৃতদেহ অসংবেদনশীল ভাবে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার মধ্যেই কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুর সংলগ্ন চাঁদগ্রামে ২৬ এপ্রিল মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘটনার দিন রাত দুটো নাগাদ স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিষ্ণু বর্মনের বাড়িতে পুলিসের পোশাকে বেশ কয়েক জন একটি গাড়িতে চেপে হাজির হয়। বিষ্ণু সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না। তাঁকে না পেয়ে প্রথমে এক বয়স্ক ব্যক্তিকে মারধর করতে করতে গাড়িতে তোলা হয়। তার পর গুলিও চালায় পুলিসের পোশাকপরা ওই কয়েকজন। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেই গুলির আঘাতেই মৃত্যু হয় বিষ্ণুর ভাই মৃত্যুঞ্জয়ের।
এই বিষয়ে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের পরিবারের আইনজীবীর দাবি, এটি পুলিসের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনা। কোনও প্ররোচনা ছাড়াই গুলি চালানো হয়েছে। ঘটনার পর পুলিস সুপারের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে দাবি তাঁর। আদালতের কাছে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁরা। যদিও রাজ্যের আইনজীবী অমল সেনের দাবি, গ্রামবাসীরা পুলিসকে আক্রমণ করে। এএসআই মোয়াজেম হোসেনকে আক্রমণ করেন গ্রামবাসীরা। আত্মরক্ষার জন্য পুলিস গুলি চালাতে বাধ্য হয়। কিন্তু ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পরই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।