নুন আনতে পান্তা ফুরোয় সংসারে। তার উপরে জীবনে নেমে এসেছে বিপর্যয়। রবিবারে ছুটির সকালে কয়েক মিনিটের আগুনে পুড়ে ছাই আনন্দপুরে ফর্টিস হাসপাতালের কাছে ইএম বাইপাসের ধারে ঝুপড়ি। প্রথমে আগুন, তারপর একের পর এক সিলিন্ডার বিস্ফোরণ। মাত্র ১০ মিনিটে ভস্মীভূত গোটা বস্তি। অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয়েছিল দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। তবুও হল না শেষ রক্ষা। সেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর কেটে গিয়েছে ২৪ ঘণ্টা। মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু হারিয়ে নিঃস্ব ঝুপড়ির বাসিন্দারা। তাঁদের জন্য এলাকার একটি মাঠে অস্থায়ী ছাউনিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে স্থানীয় কাউন্সিলরের তরফে। কিন্তু অসহায় মানুষগুলোযে সব হারিয়েছেন এক লহমায়। প্রয়োজনীয় নথিপত্র, সন্তানের পড়াশুনার বই, জমানো অর্থ আজ সবই আগুনের গ্রাসে। আগামী দিনে কীভাবে কাটবে তাদের বুঝে উঠতে পারছেন না কিছুই।
বাঁচার রসদটুকুও কেড়ে নিয়েছে নিয়তি। ছাইয়ের স্তূপে পাগলের মতো তারা খুঁজে চলেছেন প্রয়োজনীয় নথিপত্র। তাদের চোখে মুখে ক্লান্তির সঙ্গে যেন মিশে রয়েছে নতুন করে বাঁচার জেদ। তবে এই দুর্দিনে প্রশাসনের তরফে সাহায্যের আশ্বাস মেলায় আশার আলো দেখছেন নিঃস্ব অসহায় বাসিন্দারা।
১১ বছর আগে এমনই বিপর্যয়ে সম্মুখীন হয়েছিল এই বস্তি।একবছর পরেই পুনর্বাসন মেলার প্রতিশ্রুতি মিলেছে প্রশাসনের তরফে। কিন্তু ১১ বছরে ফেরেনি সুদিন। অস্থায়ী ভাবে রুবি আনন্দপুরে ফর্টিস হাসপাতাল লাগোয়া বস্তিতে মিলেছিল ঠিকানা। আবারও সেই বস্তিতে আগুন। ফের সব খুইয়ে উদ্বাস্তু ৩০ থেকে ৩৫টি পরিবার। কবে হাল ফিরবে তাদের? স্থায়ী আশ্রয়ের অপেক্ষায় এখন শুধু দিন গুজরান।