সিলেট থেকে বেনাপোল(benapole) - পেট্রাপোল(petrapole) হয়ে কলকাতা। কলকাতা থেকে দিল্লি। সেখান থেকে যাওয়ার কথা ছিল তুর্কি (turkey)। কিন্তু প্রতারকের খপ্পরে পড়ে সব খুইয়ে ফিরতে হয় কলকাতায়। সেখান থেকে নিঃস্ব(destitute) হয়ে বহুকষ্টে ঘরের ছেলে ফিরল ঘরে।
বাংলাদেশের সিলেটের(sylhet) বাসিন্দা তোফায়েল আহমেদ। নিজের পায়ে দাঁড়াতে প্রস্তাব আসে তুর্কিতে একটি ভালো চাকরির। তার জন্য খসাতে হবে গ্যাটের কড়ি। তা সে যাই হোক না কেন? ভবিষ্যত্ তো সুরক্ষিত হবে। আগুপিছু ভাবেননি তোফায়েল। টাকা পয়সা যোগার করে রওনা দেন তুর্কির উদ্দেশে। প্রথমে তাকে কলকাতা আনা হয়, সেখান থেকে দিল্লিতে। দিল্লিতে যুবকের সব টাকা আত্মসাত্ করে প্রতারকরা (cheater)। এমনটাই অভিযোগ করেন তোফায়েল ।
প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে আর দেরি করেননি তোফায়েল। প্রতারকদের খপ্পর থেকে কোনওভাবে পালিয়ে কলকাতা ফেরেন বাংলাদেশের ওই যুবক। তাতেও শেষরক্ষা হয় না। ঢাকা নিয়ে যাওয়ার নাম করে যুবকের শেষ সম্বল মোবাইল ও ৩০০০ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় এক দুষ্কৃতী। সঙ্গে টাকা নেই, মোবাইলটাও হাতছাড়া। পাসপোর্টও খোয়া গিয়েছে। অসহায় অবস্থায় শিয়ালদা স্টেশনে বসে কাঁদতে থাকে ওই যুবক। যুবকের পরিস্থিতি বুঝে কয়েকজন পথচারি তাকে ময়দান থানায় (moidan police station) যাবার পরামর্শ দেয়।
পাসপোর্ট খোয়া যাওয়ায় বেশ খানিকটা কাঠখড় পোড়াতে হয় কলকাতা পুলিসকে।তারপর সব পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ময়দান থানার কর্তব্যরত অফিসার নিজের উদ্যোগে যুবককে কলকাতা-ঢাকা একটি বাসে তুলে দেন। সঙ্গে দিয়ে দেন পথের খাবার, জল ও কিছু টাকা। শেষপর্যন্ত কলকাতা পুলিসের সহায়তায় যুবক পৌঁছতে পেরেছে বাংলাদেশে তার নিজের গ্রামে। বাসে ওঠার আগে ভেজা চোখে কলকাতাকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি ওই যুবক।