লোকসভা ভোট চলাকালীন ২৮শে এপ্রিল শুরু হতে চলেছে রাজ্য জয়েন্ট পরীক্ষা। আরও একটি উল্লেখযোগ্য তথ্য সামনে এসেছে। গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৮ হাজার পরীক্ষার্থী বেড়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে রাজ্য জয়েন্ট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১লক্ষ ৪২হাজার ৬৯২জন। অন্যদিকে, ১৯শে এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে দিল্লির কুর্সি দখলের লড়াই। দেশের সবথেকে বড় নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে কী করে সুষ্ঠুভাবে জয়েন্ট পরীক্ষা সম্পন্ন হবে তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন পরীক্ষার্থীরা। এবিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন এএসএফএইচএম-এর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি।
হিংসা এবং সন্ত্রাসমুক্ত ভোট করাতে ১লা মার্চ রাজ্যে এসেছে ১৫০ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী। তাদের রাখা হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে। ফলে শিকেয় উঠেছে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী, ভোটপর্বে মোট ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা। ৪৭দিন ধরে নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন এই বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে আরও বেশি শিক্ষাভবনের প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি, রাজ্য জয়েন্ট-এর পরীক্ষার জন্যেও শিক্ষাকেন্দ্রগুলিকে পরীক্ষাকেন্দ্রে রূপান্তরিত করতে হবে। এরকম পরিস্থিতিতে দু'দিক কীভাবে সামলাবে রাজ্য প্রশাসন, তা নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারাও প্রশ্ন তুলেছেন।
এবিষয় রাজ্য জয়েন্ট বোর্ডের কর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার বিকাশ ভবন এবং নবান্নের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।