প্রসুন গুপ্ত: রবিবার সন্ধ্যায় রাজ্য বিজেপির ১৯টি আসন ঘোষণা করা হলো। এবারে প্রশ্ন ২৩টি বাকি সেখানে এখনও ৪ আসন বাকি কেন? সূত্রে উঠে আসছে বহু সংবাদ। যতই হিন্দুত্ববাদের কথা উঠে আসুক কিংবা সঙ্ঘের কথা, আদতে বোঝা যাচ্ছে মোদী অমিত শাহ তার থেকে অনেকটাই দূরে।
বর্তমান দলে প্রচুর কংগ্রেস বা অন্য দল থেকে ভেঙে আসা নেতাদের সংখ্যা নেহাত কম নয়। এদেরই পছন্দ করছেন মোদী শাহ। তাঁরা হয়তো মনে করছেন যে, অনুশাসন থেকে আনুগত্য অনেক বেশি কার্যকর হবে আগামীতে। হয়ত এই কারনেই অনায়াসে সঙ্ঘ করা দিলীপ ঘোষ, দেবশ্রী চৌধুরী বা রাহুল সিনহারা আমল পাচ্ছেন না। সেখানে বিতর্কিত বিচারক অভিজিৎ গাঙ্গুলী, তাপস রায় বা দলবদলু অর্জুন সিং। অনায়াসে নিজের পছন্দের আসন পেয়ে যাচ্ছেন, আর অন্যদিকে দিলীপকে তাঁর প্রিয় মেদিনীপুর ছেড়ে বা দেবশ্রীর জেতা আসন রায়গঞ্জ ছেড়ে অনেক কঠিন আসনে দাঁড়াতে হচ্ছে। আসন পাচ্ছেন না আদি বিজেপির রাজু সায়ন্তন বা রাহুল সিনহারা।
এটাও সত্যি কেন্দ্রীয় কমিটি রাজ্যের কাউকেই মাথায় তুলছে না। এ কারনে সুকান্ত মজুমদার ঘনিষ্ঠ মিঠুন চক্রবর্তী যেমন রাজ্যসভার টিকিট পাননি তেমন ইদানিং শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ ভারতী ঘোষকেও মেদিনীপুরের টিকিট দেওয়া হয় নি। আমল দেওয়া হয় নি দিব্যেন্দু অধিকারীকেও। এই প্রশাসন একেবারে চিরায়িত নিয়মের বাইরে। অনায়াসেই এ সময়ে গ্রেফতার হন দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কিংবা তেলেঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কন্যা। বিষয় পরিস্কার টি ২০ মুডে এখন মোদী শাহ। এর উপর যদি দুই তৃতীয়াংশ আসন বিজেপি পেয়ে যায় তবে তো সোনায় সোহাগা। তবে এ বিশ্বে নিউটনের তৃতীয় সূত্র বাতিল করা যায় না। " প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে"। সময় বলবে থুড়ি ৪ জুন।