সমস্ত টালবাহানার পর শেখ শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে পেল সিবিআই। অবশেষে সন্দেশখালির কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত এখন সিবিআই-এর হাতে। গত ৫ জানুয়ারি তাঁর বাড়িতে তদন্ত করতে গিয়ে ইডি আধিকারিকদের আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই চলছে শাহজাহানের খোঁজ। দীর্ঘদিন লুকিয়ে থাকার পর দেখা দিলেও, ছিলেন সিআইডির হাতেই। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতের দ্বারস্থ হয়, শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, শেখ শাহজাহান যতদিন সিআইডি হেফাজতে থাকবেন, ততই তথ্য প্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা বাড়বে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁকে সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তরের দাবি তুলেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন মঙ্গলবারেই তাঁকে সিবিআইয়ের হাতে বিকেল ৪.৩০ এর মধ্যে হস্তান্তর করতে হবে। তবে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য যায় সুপ্রিমকোর্টে। ফের বুধবার ইডি যায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। বুধবারও প্রধান বিচারপতিৰ রায়কে বহাল রেখেই আদালত জানায়, তাঁর সিবিআই হস্তান্তরের কথা।
অপরদিকে, বিকেল গড়াতেই ভবানী ভবনে পৌঁছয় সিবিআইয়ের অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চের ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এদিকে সিবিআই হস্তান্তরের আগে সিআইডির তরফ থেকে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য শাহজাহানকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখান থেকে ভবানীভবনে নিয়ে আসা হয় শাহজাহানকে। অবশেষে সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তরিত হন তিনি। সিবিআইয়ের আধিকারিকদের ঘেরাটোপে রেখে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেসে।
অবশেষে শাহজাহানের তদন্তভার পেল সিবিআই। বৃহস্পতিবার থেকে এবার শাহজাহান সম্পর্কিত কী তথ্য দেয় সিবিআই- সিআইডিকে দেওয়া জবানবন্দির সঙ্গে সিবিআইকে দেওয়া জবানবন্দি মেলে কিনা, সিবিআইকে তদন্তে সহযোগিতা করেন কিনা শেখ শাহজাহান- উত্তর দেবে সময়ই।