সন্দেশখালিতে তৈরি হওয়া অচলাবস্থা-সহ পুলিসি নিষ্ক্রিয়তা এবং কিছু ক্ষেত্রে পুলিসি অতিসক্রিয়তার অভিযোগে সরব মামলকারী সংযুক্তা সামন্ত। সন্দেশখালি বাসিন্দা বিশেষ করে মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে। সোমবার প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের কাছে দ্রুত শুনানির আর্জি জানান মামলাকারী সংযুক্তা সামন্ত। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই মুহূর্তে দ্রুত শুনানির প্রয়োজনীয়তা নেই। তালিকা মোতাবেক নির্দিষ্ট দিনে শুনানির জন্য উঠবে এই মামলা। আদালতে মনে করছে, প্রাথমিক তদন্তে অনেকে গ্রেফতার হয়েছে, পরিস্থিতি আপাতভাবে নিয়ন্ত্রণে। কোর্ট নির্দেশে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারও করেছে প্রশাসন। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলা হাইকোর্টে শুনানির জন্য উঠতে পারে বলে আদালত সূত্রে খবর। তাই এই মুহূর্তে দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ হাইকোর্টের।
এদিকে সোমবার আইনজীবীকে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, মামলাকারী কে, কোন সমাজকর্মী, কোন বিশেষ ব্যক্তি? আপনি নিজে সন্দেশখালি গিয়েছিলেন? আইনজীবীর পাল্টা জাবাব, না, আমি যাইনি। তবে ওখানের পরিস্থিতি আলাদা। প্রধান বিচারপতির পাল্টা সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টের ভিত্তিতে জনস্বার্থ মামলা করছেন? সিঙ্গল বেঞ্চ আজ সন্দেশখালির মামলা শুনবে, সেটা আগে দেখুন। তবে আইনজীবীর মন্তব্য, শুধু মিডিয়া রিপোর্ট নয়। রাজ্যপালের রিপোর্টও রয়েছে মামলায়। এভাবেই সওয়াল-জবাবের পর প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দেন তালিকা মোতাবেক নির্দিষ্ট দিনেই শুনানির জন্য উঠবে মামলা।
উল্লেখ্য, মামলাকারী সংযুক্তা সামন্ত সিআরপিএফ-এর পাশাপাশি এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা ও মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু যেহেতু মামলাকারী সন্দেশখালি এলাকার বাসিন্দা নয়, পাশাপাশি তিনি সেখানে যাওয়ার চেষ্টাও পর্যন্ত করেননি, তাই এই মুহূর্তে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মনে করছেন দ্রুত শুনানির আর্জিতে সাড়া দেওয়া সম্ভব নয়।