শুক্রবার সকাল থেকেই রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় রাজভবনের উত্তর গেটের কাছে ধরনায় বসেন শাসকদল ঘনিষ্ঠ শিক্ষাবিদ, অধ্যাপক থেকে প্রাক্তন উপাচার্যরা। রাজ্যপালের ভূমিকায় সরব হন অন্যান্য অধ্যাপক ও প্রাক্তন উপাচার্যরাও। তাঁদের দাবি, সংবিধান মেনে চলুন রাজ্যপাল। স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হোক। এমনকি রাজ্যপালকে হুঁশিয়ারি দিতেও দেখা যায় শিক্ষাবিদদের। এদিনের ধরনা কর্মসূচির মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্ৰাক্তন উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্র, কবি সুবোধ সরকার, অধ্যাপক উদয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। সুবোধ সরকার বলেন, রাজ্যপাল বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের শক্ত ঘাঁটি। পরে মিছিল করে রাজভবনের মেইন গেটের দিকে যান তাঁরা। সেখানে পুলিসি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা ছিল আগে থেকেই। সেখানেই রাজ্যপালের প্রতিনিধির হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন তাঁরা।
রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাত এবার নেমে এল রাস্তায়। রাজভবনের বিবৃতির বিরোধিতা করে এবার রাজভবনের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করলেন প্রাক্তন উপাচার্যদের সংগঠন 'দ্য এডুকেশনিস্ট'স ফোরাম'। তাঁদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিচালনা প্রক্রিয়া নিয়ে রাজ্যপাল মিথ্যে কথা বলেছেন।
রাজভবনকে কেন্দ্র করে সংঘাত, দ্বন্দ্ব চলছিলই। ইদানিং রাজ্য-রাজভবনের মধ্যে ফাটল আরও চওড়া হল। এই আবহেই কার্যত রাজভবনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা রাজ্যের শাসক শিবিরের। শুরুটা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষক দিবসে রাজ্যপালকে বেনজির আক্রমণ করেছিলেন তিনি। একদিকে রাজভবনের কথামত অন্তবর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে উপাচার্যদের বেতন বন্ধের হুমকি, আবার অন্যদিকে রাজভবনে একের পর এক বিল আটকে রাখার অভিযোগ তুলে রাজভবনের সামনে ধরনায় বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন,প্রত্যেকটা বিল আটকে রেখে এভাবে কারোর অধিকার কেড়ে নিলে তিনি রাজভবনের সামনে ধরনা দিতে বাধ্য হবেন।
মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনা হুঁশিয়ারির পালটা বৃহস্পতিবার মুখ খোলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বলেন, বাইরে নয়, মুখ্যমন্ত্রী রাজভবনের ভিতরে আসুন। তিনি জোড়হাতে তাকে স্বাগত জানাবেন।