'ইডির রং-ডায়াল। উনি কোনও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে না। উনার থেকে কিছু পাওয়া যাবে না।' তাপস রায়ের উপর এতটাই আত্মবিশ্বাস রয়েছে প্রতিবেশী এক ব্যক্তির। শুক্রবার সাতসকালে রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ও বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। সকাল সাড়ে ৬ টা থেকে তল্লাশি চালানো শুরু হয়েছে তাঁদের বাড়িতে। শাসক দলের দুই হেভিওয়েট নেতার বাড়িতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তল্লাশির খবর পেতেই পুলিস অফিসাররা পৌঁছে গিয়েছেন তাঁদের বাড়িতে। সুজিত বসুর বাড়িতে বিধাননগর কমিশনারেটের অফিসার ও তাপস রায়ের বাড়িতে কলকাতা পুলিসের আধিকারিকদের দেখা যায়।
বরানগর পুরসভায় এর আগেও অভিযানে এসেছে ইডি। চেয়ারম্যান অপর্ণা মৌলিককে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জমা নিয়েছে নথিও। এবার জানা যাচ্ছে, বরানগর পুরসভার সেসব নথি খতিয়ে দেখে তাতে তাপস রায়ের যোগ পেয়েছে ইডি। শুধু তাই না, অয়ন শীলের যে সংস্থার হাত ধরে পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক বেআইনি নিয়োগ হয়েছে, তাতেও তাপস রায়ের যোগ পেয়েছে ইডি, এমনটাই খবর। আর তাই এবার সরাসরি তাপস রায়ের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাতে হাজির ইডি। প্রিন্টার নিয়েও ঢুকতে দেখা যায় ইডির আধিকারিকদের।
ইডির আধিকারিকদের সঙ্গে রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তার জন্য কলকাতা পুলিসের তরফ থেকেও চোখে পড়ল সক্রিয়তা। তাপস রায়ের বাড়ির সামনে পুলিসের এসিপি পদমর্যাদার অফিসারের নেতৃত্বে মোতায়েন পুলিসবাহিনী। অবাঞ্চিত কোনও মানুষ বা তাপস রায়ের অনুগামীকে তাঁর বাড়ির সামনে দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোরে রাজ্যের দমকল মন্ত্রীর লেকটাউনের দুটি বাড়িতে ও তাপস রায়ের বাড়িতে ইডির হানার পাশাপাশি উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুবোধ চক্রবর্তী বাড়িতেও হানা দেন ইডি আধিকারিকেরা। এদিন ভোর সাড়ে ছটা নাগাদ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে পাঁচ ইডি অধিকারিকের একটি দল সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতে পৌঁছয়। ইডি আধিকারিকদের পৌঁছনোর খবর পেয়ে প্রাক্তন পুর প্রধানের বাড়ির সামনে আসে দমদম থানার আধিকারিকেরা। যদিও তারা বাড়িতে প্রবেশ করতে পারেনি, রাস্তা থেকেই তাদের ফিরে যেতে হয়।