সোমবার কোর্ট নির্দেশে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) সশরীরে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। আদালত থেকে বেড়িয়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমের উদ্দেশে জানান, আমি দলের সঙ্গেই আছি। সবাই ভালো থাকুন। যদিও এদিন সকালে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে একপ্রস্থ মেজাজ হারান প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। তবে এদিন শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায় নয়, এসএসসি (SSC Scam) নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও ৬ জনকে হাজির করানো হয়েছিল আদালতে (Court)। এজলাসে ছিলেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, প্রসন্ন রায়-সহ অন্যরা। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন জামিনের পক্ষে সওয়াল করেছেন। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজত হয়েছে পার্থ-সহ ৭ জনের।
তিনি সওয়াল করেন, 'আমি জামিনের আবেদন করছি। চার্জশিট ফাইল হয়েছে, আমি এখনও হেফাজতে। পাঁচ জনের একটা কমিটি ছিল, যারা কিছু রহস্যজনক কাজ করেছে। আমি ওই কমিটির কেউ ছিলাম না, মন্ত্রী ছিলাম। হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে। তারা তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতারও করতে পারে, আবার নাও পারে।' তিনি জানান, অন্য আরও একটি তদন্তকারী সংস্থা আমায় গ্রেপ্তার করল। আমি বিধায়ক, তদন্তকারী সংস্থা জন প্রতিনিধিত্ব আইন মানলো না। গ্রেফতারির পর চার্জশিট তৈরি হলো।একটা চার্জশিটে নাম নেই, অন্যটায় নাম আছে। আমাকে বহুবার সিবিআই ডেকেছে, আমি তাদের তদন্তে সহযোগিতা করেছি।
তাঁর আবেদন, 'আমায় জামিন না দিলে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হোক। আমার বাইরে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। দরকার হলে আমার পাসপোর্ট জমা রাখুক।' এই প্রসঙ্গে এদিন বিচারক সিবিআইকে প্রশ্ন করে, তদন্ত শেষ হতে কতদিন? অনন্তকাল লেগে যাবে মনে হচ্ছে।' পাল্টা কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, 'আরও ৫-৬ মাস লাগবে। ধৃত প্রত্যেকে ক্ষমতাশালী, ওরা জামিন পেলে প্রমাণ লোপাট হবে। প্রচুর প্রমাণ ছড়ানো আছে এখনও। বেআইনি নিয়োগ নিয়ে প্রচুর তথ্য আছে। আরও তথ্য সংগ্রহ করা বাকি।'
সিবিআইয়ের অভিযোগ, 'পরিকল্পনামাফিক অপরাধ করা হয়েছে। অভিযুক্তর সংখ্যা অনেক, বেআইনি নিয়োগে সংখ্যা বাড়তে পারে। প্রচুর ছেলেমেয়ের জীবনে বড় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। ৩৫০ জন এমন চাকরি প্রার্থীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা গিয়েছে, এঁরা প্রত্যেকে হাইকোর্টের আবেদনকারী।'
এদিন কোর্ট নির্দেশে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। পার্থ-সহ নিয়োগ মামলায় ধৃত ৭ জনকে কোর্টে আনা হয়। শুক্রবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে ভার্চুয়ালি কোর্টে হাজির করা হয়েছিল। সেই মোতাবেক আবেদন করেছিল জেল কর্তৃপক্ষ। সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় কোর্ট কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল।