ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় মঙ্গলবার ইডির (ED) দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয় অভিনেত্রী ও সাংসদ নুসরতকে (Nusrat Jahan)। সেই মোতাবেক নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ইডির দফতরে হাজির নুসরত। প্রাথমিক দিকে তিনি জানিয়েছিলেন তিনি ইডির নোটিশ পাননি। যদি নোটিশ পান তবে নিশ্চয়ই যাবেন। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল থেকেই পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাট বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন সাংবাদিকরা। আদৌ নুসরত ইডি দফতরে যাবেন তো? জল্পনা ছিল তুঙ্গে। তবে তিনি সকাল দশটার কিছু পরেই নিজের গাড়িতে ইডি দফতরের উদ্দেশে রওনা দেন। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের প্রায় ৫০০ জন কর্মীকে ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই মামলায় ইডি তাঁকে তলব করেছে।
সূত্রের খবর, বেসরকারি সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন নুসরত। নুসরত দাবি করেছিলেন, তিনি ওই সংস্থা থেকে লোন নিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, ইডি আধিকারিকরা এটাই মূলত জানতে চান, কোনও ব্যাঙ্ক থেকে না নিয়ে কেন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন নুসরত?
সূত্রের খবর, ২০১৪-১৫ সালে নুসরত যে সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন, সেই ‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’ব্যাঙ্ক কর্মীদের সঙ্গে ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে প্রতারণা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। প্রতারিতদের অভিযোগ, নুসরত প্রতারণার টাকায় নিজে পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাট কিনেছেন। প্রথমে গড়িয়াহাট থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। এরপর আলিপুর আদালতে গিয়ে মামলা ফাইল করে প্রতারিতরা।
বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার প্রতারিত ব্যাঙ্ক কর্মীদের অভিযোগ সামনে আনেন। এবার সেই মামলাতেই ইডি ডাকে নুসরতকে। যদিও এর আগে সাংবাদিক বৈঠক করে নুসরত দাবি করেছেন, তিনি ওই কোম্পানি থেকে একটা লোন নিয়েছিলেন। ১কোটি ১৬ লক্ষ ৩০ হাজার ২৮৫ টাকার লোন নিয়েছিলেন। ২০১৭ সালে সুদ সমেত ১ কোটি ৪০ লক্ষ ৭১ হাজার ৯৯৫ টাকা কোম্পানিকে ফেরত দেন।