কোনও চালাকিই যেন তাঁর কাছে টিকবে না! কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) করা ইডি-সিবিআইয়ের (Ed) বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে, বিচারক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) নির্দেশে ঠিক এমনটাই মনে করছেন সাধারণ মানুষ। বুধবার সংশ্লিষ্ট মামলায় ইডির মুখে সমস্ত কিছু শোনার পর আদালতে বিচারক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, 'কুন্তলের অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করতে পারবে না পুলিস। নিম্ন আদালতও এই বিষয়ে কিছু করতে পারবে না।'
শিক্ষা নিয়োগকাণ্ডে ইডি-সিবিআইয়ের তৎপরতায় গ্রেফতার হয়েছেন ১৫ জনের বেশি আধিকারিক। গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা। এই নিয়োগকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন কুন্তল ঘোষও। বুধবার কুন্তল অভিযোগ করেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে কলকাতা পুলিসের কাছে নালিশ করেছিলেন।
সূত্রের খবর, অন্তর্বর্তীকালীন মামলায় একই সঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, বুধবারের মধ্যেই কুন্তলের অভিযোগপত্র হাই কোর্টে পেশ করতে হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা বিচারককে। তাছাড়া প্রেসেডেন্সি জেল সুপারের মাধ্যমে হেস্টিংস থানায় যে কুন্তলের অভিযোগপত্র গিয়েছে সেটা আদালতে পেশ করতে হবে খোদ কলকাতার পুলিস কমিশনারকে। বুধবার দুপুর ৩টের মধ্যে তা পেশ করার নির্দেশ দিল হাই কোর্ট।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে কলকাতা পুলিসের দ্বারস্থ হন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল। সম্প্রতি নিম্ন আদালতের বিচারকের কাছেও একই মর্মে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, ইডি এ নিয়ে আদালতে জানায়, প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের মাধ্যমে হেস্টিংস থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা। এর ফলে তাদের তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে।
ইডির বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘এটা মারাত্মক প্রবণতা। তদন্তকারী আধিকারিকদের হুমকি দেওয়া এবং তদন্তের গতি স্তব্ধ করার জন্য এ সব করা হচ্ছে। ন্যায়বিচারের স্বার্থে এ সব বন্ধ করতে হবে। এই অতিচালাকি বরদাস্ত করা যাবে না।’