স্কুল চলাকালীন আচমকাই দুষ্কৃতী হামলা। সোনারপুরের বলরামপুর এম এন বিদ্যামন্দিরে বেশ কয়েকজন বহিরাগত ঢুকে পড়ে শুরু করে দৌরাত্ম্য। বেধড়ক মারধর করেছিল স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও। শিক্ষাঙ্গনে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের প্রত্যক্ষ মদত ছিল বলেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন আক্রন্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। গোটা ঘটনায় উঠে এসেছিল পুলিসের উদাসীনতার ছবিও। স্কুলের অন্দরে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের পর অতিক্রান্ত ৪ দিন। এখনও পর্যন্ত এফআইআর-এ নাম থাকা অভিযুক্তদের কোনও খোঁজ নেই। কিন্তু যে স্কুলকে ঘিরে ঘটনার সূত্রপাত, সেই স্কুলের কী পরিস্থিতি? অভিভাবকরাই বা কি বলছেন এই ঘটনার পর? খোঁজ নিল সিএন। স্কুলে থমথমে পরিবেশ। বেলা ১১ টা থেকে স্কুল শুরু হলেও দেখা নেই পড়ুয়াদের। হাতে গোনা কয়েকজন পড়ুয়াকে চোখে পড়ল এদিন। যত্রতত্র পড়ে রয়েছে ভাঙা চেয়ার, বেঞ্চ। স্পষ্ট দুষ্কৃতী তাণ্ডবের ছবি স্কুল চত্বরে।
কারা যেন দল বেঁধে ঢুকে পড়ে স্যার-ম্যাডামদের ফোনগুলো আছাড় মেরে ভেঙে দিল। তার সঙ্গে চলতে লাগল মারধর। হামলার কথা মনে পড়তে এখনও শিউরে উঠছে পড়ুয়ারা। হাতে গোনা কয়েকজন পড়ুয়া এলেও, কাটছে না আতঙ্কের রেশ। দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অভিভাবকরাও।
তবে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের আবহে শিক্ষাঙ্গনে এই বহিরাগতের তাণ্ডব কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না শিক্ষক শিক্ষিকারাও। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে মতবিরোধের খেসারত দিতে হবে এভাবে তা মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা। আপাতত আক্রান্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিরপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিসের তরফে।