২০২১-এর বিধানসভা ভোটে হাইপ্রোফাইল ভবানীপুর আসনের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। কৃষ্ণনগরের সম্ভাব্য বিজেপি প্রার্থী হিসেবে চব্বিশের ভোট আবহেও তিনি চর্চায় ছিলেন। কিন্তু দুই দফায় বাংলার মোট ৩৮ আসনের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করে বিজেপি। কোথাও নেই অভিনেতা-রাজনীতিবিদ রুদ্রনীল ঘোষের নাম। এদিকে, রবিবার বাংলার জন্য বিজেপির দ্বিতীয় দফায় প্রার্থীতালিকা ঘোষিত হতেই প্রায় ৫০টির বেশি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন রুদ্রনীল। পুরোটাই কাকতালীয়, না অন্য উদ্দেশ্য? সিএন-কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে কী বলছেন রুদ্রনীল ঘোষ, জানুন।
৭৭টি গ্রুপকে বিদায় জানিয়েছেন তিনি। অভিনেতা-রাজনীতিবিদ বলছেন, বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা ভালোবেসে তাঁকে একাধিক গ্রুপে জুড়েছেন। এই গ্রুপগুলোর সঙ্গে সরাসরি দলের কোনও সংযোগ নেই। প্রতি গ্রুপের কনটেন্টও কমবেশি প্রায় এক। তাই তিনি বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সম্মান জানিয়েও গণহারে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন। দলের অফিসিয়াল গ্রুপগুলোতে বহাল তবিয়তে রয়েছেন তিনি। সিএন-কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানান রুদ্রনীল। কিন্তু তাতেও ধোঁয়াশা সরছে না, কোথাও কি ক্ষুব্ধ তিনি, এই প্রশ্নও উঠছে।
শিবপুরের ছেলে হয়েও একুশের ভোটে তিনি ভবানীপুরের মতো হেভিওয়েট বিধানসভা আসনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন। দলই তাঁকে সেই সুযোগ করে দিয়েছিল, তিনি সাধ্যমতো লড়াইও করেছিলেন। দলের দেওয়া দায়িত্ব তিনি পালন করেছেন। সিএন-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই দাবি করলেন রুদ্রনীল ঘোষ। ভোটের পরও তিনি এলাকায় ছিলেন এবং শারীরিক নিগ্রহেরও শিকার হয়ে রক্তাক্ত হয়েছেন তিনি, এই অভিযোগ তুললেন রুদ্রনীল ঘোষ। দলের প্রতি আনুগত্য বা সংকল্প থেকে তিনি এসব করেছেন, এমন সুরও ফুটেছে রুদ্রনীলের গলায়। একুশের ভোটের পর চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন, এবার কৃষ্ণনগর লোকসভা আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম চর্চায় ছিল। কিন্তু আসন্ন লোকসভা ভোটে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রের প্রতিদ্বন্দ্বী তিনি নয়, কেন? এবার সেই আসনে বিজেপির প্রার্থী অমৃতা রায়। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয় কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী, তাও দলের পছন্দের তালিকায় কেন তিনি? এসব প্রশ্ন ঘিরে চর্চা তুঙ্গে।
'দল আমার ভালো লাগা দিয়ে চলে না, একটা দল চলে অ্যাজেন্ডার উপর।' কৃষ্ণনগরে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম না থাকা ঘিরে শুরু হওয়া চর্চায় এভাবেই জল ঢালতে চেয়েছেন তিনি। এমনকী, কৃষ্ণনগরের দলীয় প্রার্থীকে নিয়েও কৌশলী রুদ্রনীল ঘোষ। তিনি বলছেন, সম্পূর্ণ দলীয় সিদ্ধান্ত। শুধু রাজনৈতিক পরিচিতির বাইরেও প্রার্থীপদে থাকা ব্যক্তির পিছনে অনেক ফ্যাক্টর কাজ করে। সিএন-কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাত্কারে এই দাবি করেছেন রুদ্রনীল ঘোষ।
তাঁর মতে, যাঁদের যোগ্য মনে হয়েছে, যাঁদের মানুষ চাইছে তাঁদের প্রার্থী করা হয়েছে। এখনও চার আসনে প্রার্থীতালিকা ঘোষণা বাকি, সেখানে কি নাম থাকবে রুদ্রনীল ঘোষের। তিনি বলছেন আশা তো রাখছি! মোটের উপর কৌশলী রুদ্রনীলের জবাব, তিনি বিজেপিতেই আছেন। কিন্তু তিনি উত্তর খুঁজছেন কোন কোন যোগ্যতায় বাকিরা প্রার্থী, আর তাঁর অযোগ্যতা কোথায়? যাঁরা বিজেপির টিকিটে লোকসভা ভোটে প্রার্থী, তাঁদের শুভেচ্ছা জানিয়ে রুদ্রনীল ঘোষের সাফ মন্তব্য, আগামিতে দলের পতাকা ধরেই লড়াই জোরদার হবে।