এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারের রেড জোনে ভর্তি বিহারের নওয়াদা জেলার শিশুটি। শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই নিউরোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার আশঙ্কাজনক অবস্থার পরেও ওই শিশুটিকে ভর্তি না নেওয়ায় বিতর্কের মুখে পড়েছিল এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দেড় বছরের গুরুতর অসুস্থ শিশুকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে বসে কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েছিল শিশুটির পরিবার। এমনকি সে সময় অক্সিজেনের ঘাটতিও দেখা যায়। পরবর্তীতে সিএন-এর খবরের জেরে এসএসকেএমের তরফে ভর্তি নেওয়া হয় শিশুটিকে।
সেখানেই খেলতে গিয়ে হঠাৎই ছাদ থেকে পড়ে যায় সে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে আসানসোল হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু আর্থিক পরিস্থিতির কারণে সেখান থেকে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। এখান থেকে শিশুটিকে রেফার করে দেওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। এরপরেই বেড না থাকার কারণ দেখিয়ে শিশুটিকে ফিরিয়ে দেয় এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দেড় বছরের গুরুতর অসুস্থ শিশুকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে বসে কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েছিল শিশুটির পরিবার। অক্সিজেনের ঘাটতিও দেখা যায়। পরবর্তীতে CN- এর খবরের জেরে অবশেষে এসএসকেএমের তরফে ভর্তি নেওয়া হয় শিশুটিকে।
আপাতত এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারের রেড জোনে ভর্তি রয়েছে ওই শিশুটি। উঁচু জায়গা থেকে পড়ে যাওয়ার ফলে শিশুটির শরীরের কোথাও ব্লাড ক্লট হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে একজন নিউরোলজিস্ট এর পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আগামীতে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য একজন ফরেন্সিক মেডিসিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে শিশুটির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলে তাকে ইয়োলো জোনে পাঠানো হবে বলে সূত্রের খবর।
যেখানে রাজ্যের বিভিন্ন নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক চাইলেই এসএসকেএমে ভর্তি হতে পারেন। সেখানে একটি ছোট্ট শিশুকে কেন এভাবে সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালের বাইরে পড়ে থাকতে হবে? বারংবার রোগী এবং তাঁদের পরিজনকে কেন এসএসকেএমে এসে সমস্যার মুখে পড়তে হবে? রাজ্যের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা তাহলে কোথায়?