অপসারিত কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের (University) উপাচার্য (Vice Chancellor) সাধন চক্রবর্তী। তাঁকে সরিয়ে দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য (Chancellor) সিভি আনন্দ বোস। বেশ কয়েকদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আন্দোলন চালাচ্ছেন পড়ুয়াদের বড় অংশ, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরা। উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগের দাবি করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। সেই দাবি মেনেই শনিবার উপাচার্যের পদ থেকে সাধনকে সরিয়ে দিলেন আচার্য। বিশ্ববিদ্যালেয়র রেজিস্ট্রারের তরফে ই-মেল মারফত সাধনকে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, শনিবার কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য সহ আন্দোলনকারীদের কথোপকথনের জন্য ডেকেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু উপাচার্য আসেননি। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ সব শুনে উপাচার্যকে অপরসারণের সিদ্ধান্ত নেন সিভি আনন্দ বোস। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়কে দুর্নীতির আখড়াতে পরিণত করেছেন উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্মাণ কাজের জন্য বহু মূল্যবান গাছ কেটে বিক্রি করা হয়েছে। মোট প্রায় প্রায় ২৬ লক্ষ টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ছিল সাধনের বিরুদ্ধে। এসবের বিরুদ্ধে ১৪ মার্চ থেকে সাধনের পদত্যাগের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ধরনা অবস্থানে বসেন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও ছাত্রছাত্রীদের বড় অংশ। রেজিস্ট্রারও সরব হওয়ায় তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে রেজিস্ট্রার চন্দন কোনারকে সেই পদে বহাল করা হয়।
বেশ কয়েকবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও পারেননি উপাচার্য। পরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। সেই মামলায় হাইকোর্ট প্রশাসনিক ভবনের ৫০ মিটারের বাইরে পদ্ধতি মেনে আন্দোলন করার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি বলা হয়, তাঁরা কোনও আধিকারিকদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।