রবিবার রাতে গার্ডেনরিচের আজহার মোল্লা বাগানে এলাকায় ঝুপড়ির উপর ভেঙে পড়েছিল নির্মীয়মাণ বহুতলের একাংশ। নিমেষের মধ্যে ওই ঝুপড়ি পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তুপে। আর সেই ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে ছিলেন বহু মানুষ। বহু প্রাণহানি, বহু জখমের খবরে চোখে জল শহরবাসীর।
সেদিন রাত থেকেই উদ্ধার কাজে নামে NDRF। কিন্তু ইতিমধ্যেই কাজ বন্ধ করে এনডিআরএফ। দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে পুরসভার হাতে। গার্ডেনরিচের বহুতল বিপর্যয়ের ঘটনায় এখনও আটকে থাকার সম্ভাবনা সেরু নামে ১ জনের। বুধবার এনডিআরএফ কর্মীরা, 'ভিকটিম লাইভ ডিটেক্টর' নামে অত্যাধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে খোঁজ পেয়েছিলেন প্রাণের। যেখান থেকে অনুমান করা হচ্ছিল ধবংসস্তূপের নিচে চাপা রয়েছেন শেরুই।
বৃহস্পতিবার বহুতল বিপর্যয় এলাকা পরিদর্শণে আসেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। জানালেন DMG এবং পুরসভা মিলিত ভাবে শুরু করেছে গার্ডেনরিচের উদ্ধারকাজ। একইভাবে পোর্ট ডেপুটি কমিশনারও জানালেন পুরসভার সঙ্গে মিলিত ভাবেই চলছে উদ্ধারকাজ। চলছে উদ্ধার কাজ। এ যেন সেই 'উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে'। বেআইনি নির্মাণের নেপথ্যে প্রভাবশালীরা, আর প্রাণ গেল আমজনতার। আর কতদিন বাংলার মানুষ এই চিত্র দেখবে? কেনই বা বারবার সাধারণ মানুষের প্রাণের বিনিময়ে হুঁশ ফেরাতে হবে প্রশাসনের? এই ঘটনায় যতই বেআইনি নির্মাণ নিয়ে নড়েচড়ে বসুক পুরসভা, ভবিষ্যতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যে হবে না, সেই নিশ্চয়তা দেওয়ার দায় আসলে কার? নাকি প্রত্যেকবারই এর-ওর ঘাড়ে দায় চাপিয়ে নিজেকে সাধু প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা অব্যাহত থাকবে? প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।