ইদে (EID Festival) তেমন কিছু দিতেই না পারায়, রিকশা চালক শামীম তাঁর মেয়ের জন্য পুতুল কিনতে বেরিয়েছিলেন। পথে এক বন্ধুর মুখে বস্তিতে (Fire in Slum) আগুন লাগার কথা শুনে ছুটে আসেন। ততক্ষণে সব শেষ। পুড়ে ছাই শামীমের মত শরীফ, কুনাল, সমীরদের ঘরও। বহু চেষ্টা করে কেউই তাঁদের শেষ সম্বলটুকু রক্ষা করত পারলেন না। রবিবার সল্টলেকের (Saltlake Market) ফাল্গুনী বাজারের একটি বস্তির ঝুপড়িতে আগুন লাগে। ওই ঝুপড়ি থেকে আগুন ছড়িয়ে যায় গোটা বস্তিতে। বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই বস্তির ১০০টি ঘর।
ফলে কম বেশি ১০০টির উপরে পরিবার বর্তমানে গৃহহীন। যদিও এ ঘটনায় কোন হতাহতের খবর নেই। সূত্রের খবর, এ ঘটনায় প্রায় ১০০টি গৃহহীন পরিবারকে স্থানীয় কমিউনিটি হলে নিরাপদে রাখা হয়েছে। বস্তির কিছু ঘরের আংশিক ক্ষতি হয়েছে, সোমবারের বৃষ্টির পর চিন্তায় পড়েছেন তাঁরাও।
ওই কমিউনিটি হলে ঠাঁই নিয়েছে শামীমের প্রতিবেশী আরও অনেক পরিবার। শামীমের মেয়ে রুকসানা চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ত। সোমবার সিএন-ডিজিটালকে শামীম বলেন, 'মেয়ের সামান্য শখটুকুও পূরণ করতে পারলাম না।' এই আগুনে পুড়ে গিয়েছে রুকসানার বই ও পড়াশুনার যাবতীয় সামগ্রীও। একেই আর্থিক অনটন ছিল, এখন মাথার উপরে ছাদও হারিয়েছে শামীমরা। সিন-ডিজিটালকে শামীম আরও বলেন, 'এ অবস্থায় মেয়েকে পড়াশুনা করাবো কীভাবে?'
রবিবারে ওই বিধ্বংসী আগুনের খবর পেয়ে, ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল দমকলের সাতটি ইঞ্জিন। দমকলের সাতটি ইঞ্জিনের প্রচেষ্টায় দীর্ঘক্ষণ পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও, ওই বস্তির ঝুপড়িগুলোর ধ্বংসাবশেষ ছাড়া কোন কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। এরপর আজ অর্থাৎ সোমবার ওই ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যাবেন ফরেনসিক দলের সদস্যরা। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তাঁরা।