দুর্নীতি (Scam) রুখতে তিনি যেন বদ্ধ পরিকর। দুর্নীতির কাছে তিনি যেন ত্রাস হয়ে উঠেছেন। কলকাতা হাইকোর্টের (High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়(Abhijit Ganguly)। কখনও তিনি সরকার পক্ষকে, কখনও পুলিসকে বাধ্য করেছেন সঠিক টা বেছে নিতে। কখনও নিজেই জেরা করেছেন শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতির অভিযুক্তদের। কখনও ভৎসনা করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের।
বুধবার ২০১৬ সালের টেট নিয়োগ মামলায় আধ ঘন্টা ধরে জেরা করলেন প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। এর আগেও তিনি মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে ইডিকে মন্তব্য করেন, ' আরও মানিক পাবেন। ভালো করে খুজুন।' মানিক ভট্টাচার্যকে ২০১৬ টেট নিয়োগের মামলায় বুধবার তাঁকে পেশ করা হয়। বুধবার বিকেলেই এজলাসে ৩ টে ১৬ থেকে ৩ টে ৪৫ অবধি প্রায় ৩০ মিনিট জেরা করেন। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০১৬ এর টেট নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন শুরু করেন, তাকে জিজ্ঞেস করা হয় এই নিয়োগে কে কে যুক্ত ছিল। নিয়োগকারী কে ছিল? এছাড়া অভিজিৎ বাবু মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞেস করেন, 'টেটের পরীক্ষা কীভাবে হত, কীভাবে ফলাফল বেরোত।' বিচারপতি তাকে রেজাল্টের একটি সংস্থা নিয়ে প্রশ্ন করেন, বেসরকারি ওই সংস্থার নাম করে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি কী ওই কোম্পানিটা চেনেন? তিনি বলেন নাম শুনেছি কিন্তু পুরোটা জানি না। বিচারপতির প্রশ্নের উত্তরে শেষে মানিক বলেন, 'সত্য সুন্দর, সমানে আসুক।' এরপর মানিক ভট্টাচার্য এই প্রশ্নের উত্তরের জন্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের থেকে সময় চেয়ে নেয় বলে তাঁর আইনজীবী সূত্রে খবর।
প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষে মানিককে ডেপুটি শেরিফের ঘরে নিয়ে গিয়ে বসিয়ে চা, কফি, ঠান্ডা পানীয় দেওয়ার জন্য বলেন বিচারপতি। এর পরই হঠাৎ বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘দশচক্রে ভগবানও ভূত হয়। এই মানিক ভট্টাচার্য আমাদের ডেপুটি শেরিফের শিক্ষক ছিলেন।’’ এর পর অবশ্য এজলাসের ভিতরে মানিকের সঙ্গে একান্তে প্রায় ১০ মিনিট কথাও বলেন বিচারপতি।
সূত্রের খবর এর পরেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শান্তনুর কেস ডাইরি পেশ করা হয়। ইডি ওই কেস ডাইরি পেশ করার পর চাঞ্চল্যকর দাবি করে। ইডির আইনজীবী বলেন, ' এই নিয়োগ দুর্নীতিতে অনেক বড় বড় মাথা আছে। যাদের নাম প্রকাশ্য আদালতে বলা যাবে না। কেস ডাইরিতে দিয়েছি দেখে নিন।' এছাড়া বুধবার ইডির আইনজীবী বলেন, 'বাৎসরিক একজনের ৬ লক্ষ টাকা বেতন। তাঁর থেকে এখনও ২০ কোটি টাকার উপরে উদ্ধার হয়েছে।'