
এগরার ঘা এখনও শোকায়নি। তার মধ্যেই ফের বেআইনি বাজি কারখানার বিস্ফোরণে মৃত ৩। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বজবজের চিংড়িপোতা গ্রামে। রবিবার সন্ধ্যায় সেখানকার একটি বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। একজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এগরা বিস্ফোরণের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে আঙ্গুল উঠছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই বিস্ফোরণের ঘটনার পরই পুলিসি তৎপরতা শুরু হয়েছে ওই গ্রামে। পুলিস বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর বাজি ও বাজি তৈরির মশলা উদ্ধার করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই এলাকায় অধিকাংশদের বাড়িতেই বাজি তৈরি হয়। পুলিস সব জানে এবং তা সবই বেআইনি। এ ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই অতিসক্রিয় পুলিস। ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিসের অ্যাডিশনাল এসপি অর্ক বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাজি বাজেয়াপ্ত করার অভিযান চলছে। তুবড়ি, চকলেট বোম, চরকা, রকেট, সেল, তারাবাতি, রংমশাল সহ প্রচুর মশলা উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় বেআইনি বাজির কারখানায় বিস্ফোরণের পর থেকেই থমথমে বজবজের চিংড়িপোতা গ্রাম। তল্লাশি চালিয়ে ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় পুলিসের বিরুদ্ধে আঙ্গুল উঠছে। প্রশ্ন উঠছে এগরার বাজি বিস্ফোরণে এখনও অবধি প্রাণ হারিয়েছে ১১ জন। এরপরে নবান্ন থেকে বেআইনি বাজি কারখানা রুখতে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছিল। কিন্তু তা পালনে কেন ব্যর্থ পুলিস? ভানুর বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর রাজ্যের বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধে তৎপর হয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু তারপরেও কেন বজবজের এই অবৈধ বাজি কারখানার খোঁজ পেল না পুলিস।