রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে (Ration Scam) ইতিমধ্যেই ইডি হেফাজতে মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমান ও রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। এই দুর্নীতি মামলায় প্রায় নিত্যদিনই নতুন নতুন তথ্য আসছে ইডি আধিকারিকদের কাছে। এবারে ইডির হাতে এল রেশন দুর্নীতির কালো চক্রের বিভিন্ন তথ্য। এই নিয়ে মঙ্গলবার ইডির তরফে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেখান উঠে এসেছে, কীভাবে রাইস মিলের মালিকরা কৃষকদের নামে ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বানাতেন ও এছাড়াও কীভাবে চাল খোলা বাজারে বিক্রি করে মুনাফা করতেন তাঁরা।
ইডির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে, রাজ্য পুলিসের কাছে অনেকদিন আগেই অভিযোগ এসেছিল যে, কিছু বেসরকারি সংস্থা বিনা লাইসেন্স ছাড়াই রেশনের চাল, আটা মজুত করত ও তা বিক্রি করত। এছাড়াও রাজ্য পুলিসের কাছে অভিযোগ এসেছিল, কিছু রাইস মিলারের মালিকরা ভুয়ো কৃষকের নাম করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে শস্যের সরকারি সাহায্য মূল্য নিজেদের পকেটে পুরে মুনাফা অর্জন করত। এর পরই ইডি আধিরকারিকরা তদন্তে নামলে আরও এক তথ্য প্রকাশ্যে আসে। ইডির অভিযোগ, অন্ত্যোদয় যোজনা, রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা ও পিএইচএইচ-এর আওতায় উপভোক্তাদের প্রায় ৩০ শতাংশ রেশন খোলা বাজারে বিক্রি করা হত। তারপর সেই টাকা দিয়েই নিজেদের পকেটে পুরত রেশন ডিস্ট্রিবিউটর ও মিলের মালিকরা। শুধু তাই নয়, সরকারের তরফে যে কৃষকদের চাষের জন্য সাহায্য মূল্য দেওয়া হয়, তা আত্মসাৎ করে নিত রেশন ডিস্ট্রিবিউটর ও মিলের মালিকরা।
ফলে ইডির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এক অভিযুক্ত অবশেষে স্বীকার করেছে, তারা এইভাবে 'কালোবাজারি' করে প্রতি কুইন্টাল প্রতি প্রায় ২০০ টাকা করে মুনাফা করত মিলের মালিকরা।