
চলতি বছরে বর্ষার শুরু থেকেই রাজ্যে উর্ধ্বমুখী ডেঙ্গির (Dengue) গ্রাফ। ফিরে এসেছে গত বছরে ডেঙ্গির সেই ভয়াবহতা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর হারও। পুরসভা, স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একাধিক গাইডলাইন, বিজ্ঞপ্তি, সতর্কবার্তা প্রচারের পরও রাজ্যে বেলাগাম ডেঙ্গির সংক্রমণ। এমনকি খোদ চিকিৎসাকেন্দ্রই পরিণত হয়েছে ডেঙ্গির আঁতুড়ঘরে। একদিনেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কলকাতা ও সল্টলেকে দু'জন, আসানসোলে তিন জন এবং খড়্গপুর ও ঘাটালে একজন মারা গিয়েছেন। ফলে ডেঙ্গির মৃত্যু সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে শুক্রবার হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে হতবাক ডেপুটি মেয়র (Deputy Mayor) অতীন ঘোষও (Atin Ghosh)। কড়া বার্তা দিলেন পুরকর্মীদের।
শহর কলকাতার বুকে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আনাচে কানাচে জমে রয়েছে আবর্জনা। নেই হাসপাতাল চত্বরের পর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণ। জমা জলে জন্ম নিচ্ছে ডেঙ্গি মশা। কার্যত হাসপাতালের অন্দরের বেহাল দশায় ডেঙ্গি আতঙ্কে তটস্থ রোগী থেকে রোগীর পরিবার। আবার আর জি কর হাসপাতালের চিত্রটাও অনেকটা তাই। আর জি কর হাসপাতালের সামনের ওপেন ড্রেনে জমে রয়েছে জল। ড্রেনের ফাঁকা অংশ নোংরা আবর্জনায় ভর্তি। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনেও পড়ে রয়েছে নোংরা আবর্জনা। যা পরিষ্কার করা হয়নি।
ডেপুটি মেয়রের তরফে হাসপাতালের পরিস্থিতি বদলের আশ্বাস মিললেও বাস্তবে তা কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে সাধারণ মানুষের মনে। প্রশ্ন উঠছে, কলকাতার একাধিক হাসপাতালেও ডেঙ্গির পরিবেশ বহাল রয়েছে। যাদবপুরের কেপিসি হাসপাতাল ডেঙ্গির জন্য অনুকূল। তাই ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ যখন বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করছেন, তাহলে শহরের অন্যান্য হাসপাতালগুলোর এই পরিস্থিতি বদলাবে কবে?