কোনও ভাবেই যেন রোখা যাচ্ছে না ডেঙ্গি, এমনকি রোখা যাচ্ছে না মৃত্যুও। বৃহস্পতিবার সকালেই কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল আরও এক মহিলার। সূত্রের খবর, ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল সল্টলেকের বাসিন্দা প্রতিমা মণ্ডলের। বিধান নগর মহকুমা হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি, বৃহস্পতিবার সকাল ৭:৫০ নাগাদ মারা যান তিনি।
ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যেই শহর কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৫০ জনের, সেই হারেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডেঙ্গি সংক্রমণ। একদিকে যেমন গোটা রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণ প্রায় ৪০ হাজার ছুঁয়েছে। অন্যদিকে কেবল কলকাতাতেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ছুঁয়েছে। কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে ডেঙ্গি রুখতে ইতিমধ্যেই রাজ্য মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন জেলাশাসকরা। এরপর নবান্ন কতৃর্ক গোটা রাজ্যের ডেঙ্গি রুখতে যত কর্মী কাজ করছেন সমস্ত কর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এমনকি এই কাজে পুলিসকেও হাত লাগাতে বলা হযেছ।
অন্যদিকে কলকাতা পুর এলাকাগুলিতে ডেঙ্গি সংক্রমণ রুখতে সক্রিয় মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। দুজনেই কলকাতার বিভিন্ন ডেঙ্গিপ্রবণ এলাকা ঘুরে দেখেন। জমা জল বা ডেঙ্গির লার্ভা খোঁজের জন্য ড্রোনও ব্যবহার করে কলকাতা কর্পোরেশন কতৃর্ক। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বুধবার জরুরি বৈঠকে বসে কলকাতা পুরসভা। কলকাতার ১৬টা বোরোর স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। ডেঙ্গি প্রতিরোধে আগামী দিনে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে? তা নিয়েই হয় এই বৈঠক।
বৈঠকের শেষে ডেপুটি মেয়র জানান, পুরসংস্থার তরফ থেকে টাকা খরচ করে পরিষ্কার করা হচ্ছে। অথচ কিছু অসচেতন মানুষ যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলছেন। ফলে মেয়র নির্দেশ দিয়েছেন, যেসব বাড়ি থেকে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। তাঁদের প্রত্যেকটি বাড়িতে নোটিস পাঠানো হবে। প্রয়োজনে জরিমানাও করা হবে। জানান ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। তিনি আরও জানান, ডেঙ্গি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে খিদিরপুর আরবান হেলথ সেন্টারে ফিভার ক্লিনিক করা হবে। যেখানে অতিরিক্ত ৪০টি বেড বাড়ানো হবে। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ইসলামিয়া হাসপাতালেও ১০০টি বেড, ডেঙ্গি ফিভার ক্লিনিক হিসাবে ব্যবহার করা হবে। একই সঙ্গে হেল্প লাইন চালুর ঘোষণাও করেন তিনি।