বাগুইআটি জোড়া খুন-কাণ্ডে তৎপর সিআইডি (CID)। বুধবার রাতে ভাঙর থানায় গিয়ে বাসন্তী হাইওয়ের সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) সংগ্রহ করে সিআইডির তিন সদস্যের দল। আর বৃহস্পতিবার দুপুরে কাশিপুর থানায় যায় সিআইডির দুই সদস্যের দল। কাশিপুর থানারও সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তারা। পাশাপাশি ভাঙর এলাকার একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ গোয়েন্দাদের।
জানা গিয়েছে, বাগুইআটি জোড়া খুন-কাণ্ডে গ্রেফতার শাহিল ও সোহেল। দু'জনেই আটঘরা চিনার পার্ক এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে থাকত। এদের মধ্যে একজনের বাড়ি ভাঙরের সোনপুর এলাকায়। সে নাম পরিচয় পরিবর্তন করে আটঘরায় ঘর ভাড়া নিয়েছিল বেশ কিছুদিন ধরে। এমনটাই প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা।
আটক সেই ব্যক্তিকে কাশিপুর থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদের করে সিআইডি। এই অপহরণ খুনের ঘটনায় বেশ কিছু তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তার নাম উঠে এসেছে গোয়েন্দাদের সন্দেহের তালিকায়।
এদিকে, এদিন দুপুরে বাগুইআটি থানায় গিয়ে অপরাধে ব্যবহার করা গাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডির ফরেন্সিক বিভাগ। ডিপার্টমেন্টের ফিজিক্স ও বায়োলজি বিশেষজ্ঞরা গাড়িটির দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এছাড়াও গাড়ির বিভিন্ন অংশ মার্ক করেন বিশেষজ্ঞরা।
অপরিদকে, বাগুইহাটি জোড়া ছাত্র খুনের ঘটনায় সাসপেন্ড এস আই প্রীতম সিং, যিনি এই কেসের আইও ছিলেন তাঁকে এদিন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা গাড়ির সামনে নিয়ে আসেন। এই মামলার প্রাক্তন আইও হিসেবে তাঁর থেকে কিছু তথ্য জানতে চান সিআইডির ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা।