বাগুইআটি জোড়াখুনের (Baguiati Murder) তদন্তে ভাঙড়ে সিআইডি টিম। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড়ের বাসন্তী হাইওয়ের (Bhangar Basanti Highway) সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV FOOTAGE) সংগ্রহ করতে যায় সিআইডি। বেশ কিছু সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন সিআইডি আধিকারিকরা।
সিআইডি (CID) আধিকারিকদের হাতে ক্ষমতা যাওয়ার আগে পর্যন্ত পুলিস আধিকারিকরা তাদের কাজ সঠিকভাবে করতে পারেননি। পুলিস আধিকারিকরা শত চেষ্টা করেও অতনুদের বাড়িতে প্রবেশ করতে পারেননি। সিআইডি আধিকারিকদের চার জনের দল ইতিমধ্যেই চলে এসেছিলেন বাগুইআটি থানায় এর পর পুলিসের আধিকারিকদের সাথে কথোপ কথনের পর সিআইডি আধিকারিকরা তদন্তের জন্য বিভিন্ন জায়গায় যাবেন।
যে গাড়িটি করে সেই দিন নিয়ে যাওয়া হয় রাজারহাট ও পরবর্তীকালে বাসন্তী হাইওয়েতে, সেই গাড়িটিরও তদন্ত হবে। সিআইডি আধিকারিকদের হাতে গোটা তদন্তের ভার যাওয়ার পর তারা অতনুদের বাড়িতে আসবেন। গোটা বিষয়টা তদন্ত করবেন। এমনটাই সিআইডি আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
বাগুইআটির ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। ঘটনার পুরো তদন্ত সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখছেন। সম্পূর্ণ তদন্তের পর আসল অপরাধীকে ধরতে হবে ও যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা হবে, এমনটাই বক্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বুধবার এই মন্তব্য করেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বাগুইআটির ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক।এই ঘটনায় পুলিসি গাফিলতির একটা অভিযোগ উঠছিল। সেই প্রসঙ্গে তিনি জানান,'পুলিস-সহ থানার আধিকারিকের আরও সক্রিয় হওয়া দরকার ছিল। প্রয়োজনে সিআইডির সাহায্য নেওয়া যেতে পারতো। মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন। পরিবারের পাশে রাজ্য সরকার আছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেদনাহত। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত সাজা দেওয়া হবে। এই নির্দেশ ডিজিকে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।' পাশাপাশি তিনি জানান, আইসিকে ক্লোজ করে সিআইডি-কে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। এদিন বিকেলের দিকে দুই পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন সিআইডির প্রতিনিধি দল। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বিধাননগরের সিপি সুপ্রতীম সরকার।