অমৃতা সিং ওরফে সুইটি। মাদক পাচার মামলায় ২০২১ সালে অমৃতার কাছ থেকে উদ্ধার হয় মাদক। উদ্ধার হয় বিপুল পরিমানে কোকেন ও ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। প্রায় ১ বছর জেলে ছিলেন তিনি। মাদকপাচারকারী হিসেবে পুলিসের খাতায় নাম থাকা এক বছর জেলবন্দী অমৃতা সিংয়ের সঙ্গেই নাম জড়িয়েছে রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে ধৃত প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। স্যোসাল মিডিয়াতে এই অমৃতার সঙ্গে জ্যোতিপ্রয়র ছবি এখন ভাইরাল। আর এই ছবি প্রকাশ্যে আসার পরই নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে। মাদকপাচারকারীর সঙ্গে জ্যোতি যোগ খুঁজতে গিয়ে সিএন এর হাতে আসে হাইকোর্টের একটি হলফনামা। যাতে জ্যোতিপ্রিয় এই অমৃতাকে কন্যাসম বলে দাবি করেছেন। এ ব্যাপারে জানতে অমৃতার কাছে গেলে তিনিও জানান জ্যেতিপ্রিয় তার পিতৃতুল্য। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে অমৃতার পরিবারের সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয়র পরিবারের সম্পর্ক।
এদিকে জ্যোতিপ্রিয়-অমৃতার সম্পর্ক নিয়ে সরব হয়েছেন পামেলা গোস্বামী। কে এই পামেলা গোস্বামী? পামেলা গোস্বামীও মাদক পাচারে গ্রেফতার হয়েছিলেন। এবং অমৃতা সিং ও পামেলা গোস্বামী একই জেলে ছিলেন। সেই সূত্রেই পামেলা চেনেন অমৃতাকে। পরবর্তীতে পামেলাকে মাদক মামলা থেকে অব্যাহতি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই পামেলা আবার সিএন এর মুখোমুখি হয়ে দাবি করেন 'জেলে থাকার সময় বালুদার সঙ্গে যোগাযোগ রাখত অমৃতা' এখানেই শেষ নয়, পামেলার দাবি শুধু রেশন নয়, গরু-কয়লা পাচারেও যুক্ত জ্যোতিপ্রিয়।
'সন্দেশখালির শাজাহান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছের মানুষ' 'শাজাহানের সঙ্গে মিলে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ করানোর অভিযোগও তোলেন পামেলা। পামেলার কথায় কোটি কোটি টাকা লেনদেনের বিনিময়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগ করেছেন পামেলা গোস্বামী জ্যোতিপ্রিয়ওর বিরুদ্ধে সোনা পাচারের অভিযোগও তোলেন পামেলা।
মাদক পাচার মামলার চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসাবে সুইটির নাম থাকার পরেও, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠতার পেছনে আসল কারণ কি? শুধু মাদক পাচারের সঙ্গেই যুক্ত থাকার অভিযোগ নয়, তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে সুইটির বিরুদ্ধে।যদিও মানতে নারাজ অমৃতা। আর এখানে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তবে কি রেশন দুর্নীতির কালো টাকার ভাগীদার অমৃতা ?পামেলার দাবি রেশন দুর্নীতির কালো টাকার ভাগীদারও হয়েছেন সুইটি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এর কাছ থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে, একাধিক ব্যবসা করেছেন তিনি। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে অমৃতা।
সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে তাকে জড়িয়ে তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলা তার স্বামী সন্দীপ আগারওয়াল। সিএন-এর ক্যামেরার সামনে এমনটাই অভিযোগ করেছেন মাদক পাচারে ধৃত অমৃতা সিনহা ওরফে সুইটি।
তবে তদন্তের স্বার্থে ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা ডাকলে জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগীতা করতে রাজি অমৃতা। রেশন দুর্নীতি সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয়া মল্লিক আদৌ জড়িত কিনা সে বিষয়ে তদন্ত হোক চান সুইটি নিজেও। জ্যোতিপ্রিয়কে নিয়ে কে ঠিক বলছেন অমৃতা না পামেলা উত্তর দেবে সময়।