রেশন বণ্টন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় বুধবার আদালতে হাজির করানো হয় বাকিবুর রহমানকে (Bakibur Rahman)। এদিন তাঁর আইনজীবী দেবজ্যোতি সেনগুপ্তকে জামিনের আবেদন করতে দেখা যায়নি। এর পরই বাকিবুরকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কিন্তু এদিন আদালতে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করেছেন ইডি আধিকারিকরা। ইডির দাবি, শুধু আটা নয়, চাল নিয়েও একই ধরণের দুর্নীতি হয়েছে। ফলে চাল কীভাবে চুরি করা হয়েছে, সে নিয়েও তদন্ত করছে ইডি। ইডির দাবি, এই দুর্নীতিতে ডিলাররা এবং সমবায় সমিতিও জড়িত।
এদিন বাকিবুরকে আদালতে হাজির করানো হলে ইডির আইনজীবী ভাস্করপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ভুয়ো শিবির করে ভুয়ো চাষির নাম করে ধান কেনার ভান করতেন বাকিবুর রহমান। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে ব্যবহার করা হত আধিকারিকদের সিলও। এ ভাবে খাদ্য দফতরের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন বাকিবুর। ইডির আইনজীবী আদালতে আরও জানান, ধান কেনার ক্ষেত্রে খাদ্য দফতরের ভুয়ো অফিসার এবং ভুয়ো সমবায় সমিতির মাধ্যমে সব লেনদেন হত। ধান কেনার জন্য শিবিরের আয়োজন না করেই ধান কেনা হত ও সরকার নির্ধারিত টাকা পেত ভুয়ো সমবায় সমিতি এবং ভুয়ো চাষিরা। ফলে আসল চাষিরা বঞ্চিত হতেন ও মূল চক্রিরা আড়ালেই থাকতেন।
বুধবার জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বাকিবুরকে আদালতে তোলা হলে তাঁকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।