একাই ১ হাজার কোটি টাকার মালিক বাকিবুর রহমান! ইডি তদন্তে উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য। রেশন দুর্নীতির রহস্যের পর্দাফাঁস করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়েছিল প্রভাবশালী চালকল ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। তদন্ত এগোতেই দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির জালে উঠে আসে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও। তদন্তের জাল গোটাতে তেড়েফুঁড়ে ময়দানে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সশরীরে মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তির অফিস ও বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী। ইডির হাতে এসে পৌঁছয় একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এবার সেই মামলার তদন্তে দিল্লির সদর দফতরে বিস্ফোরক তথ্য পেশ করল ইডি আধিকারিকরা। ইডির দাবি, বিগত ১০ বছরে দুর্নীতির মাধ্যমে ১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে ধৃত চালকল ব্যবসায়ী বাকিবুর। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারের কাছ থেকে ধান কেনার নামে দুর্নীতির মাধ্যমে ৪৫০ কোটি টাকা এবং গণবন্টনে দুর্নীতিতে ৫৫০ কোটি কামিয়েছে প্রভাবশালী ওই ব্যবসায়ী।
তবে এখানেই শেষ নয় দুর্নীতির। ইডির দাবি, রাইসমিলের মাধ্যমেই দুর্নীতির সাম্রাজ্য তৈরী করছে ধৃত চালকল ব্যাবসায়ী। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি রাইস মিল। মূলত খাদ্যশস্যের ২৫ শতাংশ ওজন কমিয়ে সেখানে খারাপ মানের খাদ্যশস্য মিশিয়ে দুর্নীতির কারবার চালাত বাকিবুর। সূত্রের খবর,এই দুর্নীতির লভ্যাংশ পৌঁছে যেত বালু ওরফে ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র পকেটেও।অভিযোগ, রেশন দুর্নীতির টাকা সরাতে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, তাঁর স্ত্রী এবং মেয়ের নামেও টার্ম ডিপোজিট খুলেছিলেন। খোলা হয়েছিল প্রায় ৫৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। অ্যাকাউন্টে রাখা হয়েছিল ২ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা।ভুয়ো কৃষকদের নামেও কেনা হয়েছে ধান। এই বেনিয়মে হাত ছিল রাইস মিল মালিক বাকিবুর রহমানের। আত্মীয় এবং মিল কর্মীদের ভুয়ো কৃষক সাজিয়ে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বকলমে ঘরে তুলতেন বাকিবুর। এমনকী, তদন্তে উঠে এসেছে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নামে থাকা একাধিক সংস্থায় দুর্নীতির অর্থ বিনিয়োগের তথ্য।
কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে শুধু কি বালু নাকি আরো অনেক প্রভাবশালী এই লভ্যাংশের ভাগীদার? খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাবিভাগ। আগামী দিনে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের ধরপাকড়ে এখন আর কোন কোন প্রভাবশালীর নাম প্রকাশ্যে আসে সেটাই দেখার।