সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা বাংলা। এখনও হদিশ মেলেনি তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের। 'বেতাজ বাদশা'র বিরুদ্ধে উঠেছে নানা অভিযোগ। এমন পরিস্থিতিতেই সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে দিল্লির সদর দফতরে রিপোর্ট পাঠালো এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দিল্লিতে পাঠানো ইডির রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, শাহজাহান শেখকে যদি নোটিস দিয়ে তদন্তের আওতায় আনার চেষ্টা করা হত, তবে তিনি সতর্ক হয়ে যেতেন, উদ্দেশ্য সফল হত না। রিপোর্টে ইডি লেখে, শেখ শাহজাহানের বাড়িতে রেশন দুর্নীতির গুরুত্বপূর্ণ নথি ছাড়াও মজুত ছিল কোটি কোটি টাকা। আর ঠিক সেই কারণেই শাহজাহান যাতে একেবারেই সতর্ক না হতে পারেন, তাই ইডি এমন আচমকা হানা দিয়েছিল তাঁর বাড়িতে।
এরপরেই ইডির সংযোজন, যেহেতু ইডির আধিকারিকরা আচমকাই তার বাড়িতে যায়, সেকারণে বাড়িতে থাকা বিপুল পরিমাণ টাকা সরাতে পারেনি শেখ শাহজাহান। আর তাই জন্যেই গ্রামবাসীদের দিয়ে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা চালিয়েছিল বলে রিপোর্টে জানিয়েছে ইডির আধিকারিকরা। ওই সুযোগেই বাড়ি থেকে টাকা পাচার করার চেষ্টা করতে পারেন তৃণমূল নেতা, এমনটাও উল্লেখ করেছে ইডি।
দিল্লির সদর দফতরে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে পাঠানো রিপোর্টে এমনটাই জানাল ইডির অধিকারিকরা। ইডির অনুমান সঠিক হলে কালো টাকা সরাতে দোর্দন্ডপ্রতাপ নেতা শেখ শাহজাহানপুরো গ্রামকে জড়ো করার মত বুদ্ধি এবং ক্ষমতা দুই রাখে তা বলাই বাহুল্য। এই দাপুটে তৃণমূল নেতার তদন্ত কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যায় ইডি, রাজ্যবাসীর চোখ থাকবে সেদিকেই। অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় কি না, চোখ থাকবে সেদিকেও?