কেন্দ্রীয় পদ থেকে সরিয়ে দিলেও একেবারেই দল থেকে অনুপম হাজরাকে বাদ দিয়ে দেয়নি বঙ্গ বিজেপি। শহরে শাহ-নাড্ডা বৈঠকের পরই মঙ্গলবার বিজেপির কেন্দ্রীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় অনুপম হাজরাকে। কিন্তু এই ঘোষণার পরই ফেসবুকে এক পোস্ট শেয়ার করেন বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ। বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক পদে ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে 'পদ থেকে সরাবার ঠিক তিন ঘন্টার মধ্যেই তাঁর বার্তা - কিছু শর্ত মেনে চললে' "আবার সব আগের মতো"!!!'
মঙ্গলবার বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরাকে পদ থেকে অপসারণ করে বিজেপি। অর্থাৎ, বঙ্গ বিজেপির সঙ্গে অনুপমের দূরত্বের খেসারত দিতে হল অনুপমকে৷ দীর্ঘদিন ধরেই অনুপম বিজেপির একাধিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিজেপির সর্বভারতীয় রাষ্ট্রীয় মহাসচিব অরুণ সিং এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে একমাত্র বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক পদে ছিলেন অনুপম হাজরা। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও সর্বভারতীয় পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, কয়েক দিন ধরেই বঙ্গ বিজেপির বিরুদ্ধে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইট ফেসবুকে সরব হতে দেখা গিয়েছে অনুপম হাজরাকে৷ ফেসবুকে তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্য সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী নামে প্রতিবাদ করে সরব হতে দেখা গিয়েছে অনুপমকে। শুধু তাই নয় পৌষমেলায় বঙ্গ বিজেপির বিরোধী করে দুটি স্টল হয়েছে। একটি অনুপম হাজরার অনুগামীদের, অন্যটি বঙ্গ বিজেপির স্টল৷ যা নিয়ে গোষ্ঠী কোন্দলের কটাক্ষ করেছিল তৃণমূল।
এবার অনুপম হাজরাকে সর্বভারতীয় সম্পাদক পদ থেকে অপসারণ করল বিজেপি। ইতিমধ্যেই এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিজেপির সর্বভারতীয় রাষ্ট্রীয় মহাসচিব অরুণ সিং। তাতে লেখা রয়েছে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশে অনুপম হাজরাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল৷ কিন্তু এরপরই ফেসবুকে 'বোমা' ফাটালেন তিনি। ফলে দলীয় সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করেই ফেসবুকে লিখেছেন, শর্ত মেনে চললে তাঁকে নাকি আবার পদ ফিরিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। তবে কী শর্ত, সেটা তিনি উল্লেখ করেননি। এখন দল ও অনুপম হাজরার কী সিদ্ধান্ত হতে চলেছে, সেটাই এখন দেখার।