জ্যোতি কন্যা প্রিয়দর্শিনী মল্লিক ও দেবপ্রিয় মল্লিকের পর এবারে ইডির সদর দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে এলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্তসহায়ক অমিত দে (Amit Dey)। সোমবার সকাল ১১টা ১৯ মিনিট নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে আসেন তিনি। সেখানে তাঁর হাতে এক নথি দেখা যায়। তাঁকে প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, তাঁর বাড়ির কিছু নথি নিয়ে এসেছেন তিনি।
আজ অর্থাৎ সোমবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্ত সহায়ক অমিত দে ইডি দফতরে প্রবেশ করতেই জানান, তাঁকে তাঁর বাড়ির দলিল নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল। তাই তিনি আজ তাঁর বাড়ির দলিল নিয়ে এসেছেন। এদিন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্ত সহায়ক অমিত দে সিএন-এর মুখোমুখি হয়ে আরও জানান, 'জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পুরনো বাড়ি কলেজ স্ট্রিট চত্বরে, আমিও ওই এলাকার ছেলে। আমি ব্যবসা করতাম, পরবর্তীকালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আমাকে চাকরি দেন। চাকরি করার কোনও ইচ্ছে আমার ছিল না কারণ আমার পৈত্রিক ব্যবসা আছে। তারপরেও রাজনৈতিক চাপে আমি চাকরি করতে বাধ্য হই।'
তিনি আরও বলেন, 'দফতরের বেশকিছু কাজ আমি দেখতাম তবে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টা আমার জানা ছিল না। মন্ত্রীর ঘরে কে আসবে, কে যাবে সমস্ত বিষয়টা দেখতেন অভিজিৎ দাস। তাঁকে জিজ্ঞাসা করলে আর্থিক লেনদেনের সমস্ত হিসেব পাওয়া যাবে। আমি শুধুমাত্র মন্ত্রীর আজ্ঞাবহ ছিলাম। আমার বিশ্বাস উনার স্ত্রী এবং মেয়ে দুজনেই আজ্ঞাবহ ছিলেন।'
বাকিবুরের প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অমিত দে জানান, 'বাকিবুরকে চিনি, কিন্তু আমি বাকিবুরকে পছন্দ করতাম না। ২০১৬ সালের অভিজিৎ চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পর থেকে আমি ওই জায়গায় নিযুক্ত হই। তখন আমার ওপর কিছু নির্ভর করত না। মন্ত্রীর ঘরে বাকিবুররা সরাসরি ঢুকতেন। আর শুধু মন্ত্রীর ঘর কেন পুরো দফতরের অফিসারদের ঘরে বাকিবুররা যাতায়াত করতেন।'
অমিত দে আরও বলেন, 'ইডি আমাকে তদন্তের স্বার্থে মন্ত্রীর যাবতীয় ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন, আমি যতটা জানি তা জানিয়েছি। আমি মন্ত্রীর নির্দেশ মত কাজ করতাম। আমার হাত দিয়ে কোনদিন কোন আর্থিক লেনদেন হয়নি। আমি অভিজিৎ কেউ কোনদিন টাকা পয়সা নিতে দেখিনি। মন্ত্রীর সম্পত্তি এবং কোম্পানি সম্পর্কে আমি ওয়কিবহাল নই।'