খাস কলকাতায় (Kolkata) এমনও ঘটনা ঘটে যাবে ভাবলেও অবাক হচ্ছেন শহরবাসী। প্রথমে বাগুইআটির (Baguiati) দুই স্কুল পড়ুয়াকে অপহরণ৷ তারপর মুক্তিপণের দাবি করে দুষ্কৃতীদের বার্তা অপহৃতদের পরিবারকে৷ আর এই ঘটনার প্রায় ১২ দিন পর বসিরহাট জেলা হাসপাতালের মর্গে সন্ধান মিলল অপহৃতদের মৃতদেহ (deadbody)৷ চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার পরই প্রশ্ন উঠছে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে৷ ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস৷ যদিও মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী এখনও পলাতক৷ তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। তদন্তে নেমে বুধবার উঠে আসে বেশ কিছু তথ্য।
পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী গাড়ি কিনতে চেয়েছিল। একটি গাড়ি নিয়ে এই এলাকায় আসেন সত্যেন্দ্র। তিনি বাইক কেনাবেচা করতেন। ইতিমধ্যেই সত্যেন্দ্রের স্ত্রী পুলিসের সেফ ক্যাস্টার্ডিতে। সত্যেন্দ্রের শ্বশুর রণজিৎ ঘোষ, তাঁর গোপাল ভবনের পাশে দোকান রয়েছে। মৃত অতনু বাইক কিনতে যায় সত্যেন্দ্রের কাছে। সত্যেন্দ্রকে বাইকের জন্য ৫০০০০ টাকা দিয়েছিল অতনু। ওই গাড়িটি পরীক্ষা করতেই বাসন্তী হাইওয়েতে যায় অতনু।
অন্যদিকে বাগুইআটি জোড়া অপহরণ এবং খুনের ঘটনায় মঙ্গলবারই রিপোর্ট তলব করেছিলেন ডিজি। প্রাথমিক তদন্তে বাগুইআটি থানার গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে, পাশাপাশি আইসি বাগুইআটির গাফিলতিরও প্রমাণ মিলেছে। ইতিমধ্য়েই তদন্ত চলাকালীন আইসি বাগুইআটিকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘকালীন ছুটি বা ক্লোজ করা হতে পারে আইসি বাগুইহাটি কল্লোল ঘোষকে এমনটাই পুলিস সূত্রে খবর।
এছাড়াও, মঙ্গলবার রাতে বসিরহাট মর্গ থেকে অপহৃত দুই যুবকের মৃতদেহ বাগুইআটি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তবে বাড়ি পৌঁছলেই কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার। পাশাপাশি সেদিন বাগুইহাটি থানার সামনে হাতে পোস্টার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় অভিষেক নস্করের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা। এরই সঙ্গে শিশু সুরক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে সুদেষ্ণা রায় বাগুইআটি থানায় এসে পৌঁছয়। তারা পাঁচদিনের মধ্যে পুলিসের থেকে রিপোর্ট চেয়েছে।