সন্দেশখালিতে ইডি-র উপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার আরও ৩। ঘটনার এক সপ্তাহ পরে গ্রেফতার করা হয়েছিল দুই অভিযুক্ত মেহবুব মোল্লা এবং সুকমল সর্দারকে। ৯ দিনের মাথায় অন্যতম দুই মূল চক্রী সঞ্জয় মণ্ডল ও আলী হোসেন ঘরামকে বসিরহাট জেলা পুলিসের উদ্যোগে গ্রেফতার করে ন্যাজাট থানার পুলিস। আর সোমবার রাতে ন্যাজাট থানার অন্তর্গত মেছো ভেরি এলাকা থেকে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিস। এখনও পর্যন্ত মোট সাত জনকে গ্রেফতার করেছে ন্যাজাট থানার পুলিশ। ঘটনার দশ দিন অতিক্রান্ত, কিন্তু এখনও অধরা ইডির উপর হামলার মাস্টারমাইন্ড শেখ শাহজাহান।
উল্লেখযোগ্যভাবে জানা যাচ্ছে, শেখ শাহজাহানের সম্পূর্ণ না হলেও খানিক সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। গোপন সূত্রে খবর, শেখ শাহজাহানের মোবাইল টাওয়ারের শেষ অবস্থান পাওয়া গিয়েছে বাসন্তী থানার চর বিদ্যা এলাকায়। সূত্ৰ মারফত জানা যাচ্ছে, রবিবার ভোরবেলা অবধি তার অবস্থান পাওয়া গিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা রমজান মোল্লার বাড়িতে। অন্যদিকে বেশ কিছু অভিযুক্ত ক্যানিং এলাকায় সুন্দরবন গেস্ট হাউসে রয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
তবে প্রশ্ন জাগে, মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান, তিনি কোথায় লুকিয়ে রয়েছেন, তার মোবাইলের টাওয়ার কী অবস্থান স্পষ্ট করছে, সবটাই জানা গেলেও পুলিস এখনও কেন ধরতে পারছে না তাকে? এদিকে একের পর এক গ্রেফতার হচ্ছে ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা। আর ঘটনার যে মাস্টার মাইন্ড? তিনি রয়েছেন বহাল তবিয়তে? পুলিস তাকে নাগালে পাচ্ছে না? নাকি শেখ শাহজাহানকে ধরার ক্ষেত্রে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে পুলিসি বুদ্ধিমত্তা? বারবার প্রশ্ন উঠছে বিরোধী মহল থেকে।