নতুন বছরের শুরু থেকেই রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে অত্যন্ত তৎপর হতে দেখা গেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে। আর এই রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ি-সহ মোট ৫ জায়গায় ম্যারাথন তল্লাশি অভিযানে নামে ইডি। প্রায় ১৭ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সেদিন মধ্যরাতে গ্রেফতার করা হয় শঙ্কর আঢ্যকে। তবে শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতারের সময় বনগাঁতেও দেখা গিয়েছিল সন্দেশখালির ছায়া। আঢ্যকে গ্রেফতারের পর বনগাঁর বাড়ি থেকে নিয়ে বেরনোর সময় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় ইডির আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। হামলার চেষ্টা করা হয় ইডি আধিকারিকদের ওপর। পাশাপাশি ইডি আধিকারিকদের গাড়ি ভাঙচুর সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি লক্ষ্য করে ইঁট ছোড়া হয় এবং গালিগালাজও করা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর।
এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল ইডির পক্ষ থেকে। এতদিন পর এই ঘটনা নিয়ে তৎপর হতে দেখা গেল বনগাঁ থানার পুলিসকে। ঘটনার তদন্ত শুরু করল বনগাঁ থানার পুলিস । সিজিও কমপ্লেক্সে এসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিককে প্রায় দেড় ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে বনগাঁ থানার পুলিস । সেদিন ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল, কোনও ব্যক্তি আহত হয়েছিল কিনা, কটা গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছিল, এই সমস্ত বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে যান বনগাঁ থানার পুলিস।
প্রসঙ্গত রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে তদন্তের সময়ে সন্দেশখালি এবং বনগাঁতে যেভাবে হামলার মুখে পড়তে হয়েছে ইডিকে, তাতে রাজ্য পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তো উঠছেই। পাশাপাশি এই দুর্নীতি কাণ্ডের অন্যতম শেখ শাহজাহানকে এখনও আটক করতে না পারায় রাজ্য পুলিসের ভূমিকা নিয়ে একটা বড় প্রশ্নচিহ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।