
শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) অর্থনৈতিক অবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে। এই বিধ্বস্ত শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়িয়েছে বন্ধু দেশ ভারত (India)। স্বাধীনতার পর শ্রীলঙ্কা এই প্রথম আর্থিক সংকটের (financial crisis) মুখোমুখি। মাত্র একদিনের মতো পেট্রোল মজুত রয়েছে শ্রীলঙ্কায় (Sri Lanka)। কিছুদিন আগে এমনটাই জানিয়েছিলেন সদ্য দায়িত্ব নেওয়া প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে (Ranil Wickremesinghe)। রীতিমতো জ্বালানির জন্য হাহাকার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রে। তারই মধ্যে দ্বিতীয়বার জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। শ্রীলঙ্কাতে ব্যবহৃত অক্টেন ৯২ পেট্রোলের দাম ৪২০ টাকা প্রতি লিটার এবং ডিজেলের দাম ৪০০ টাকা প্রতি লিটার।
উল্লেখ্য, টুইট (Tweet) করে একথা জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎমন্ত্রী (Minister of Power ) কাঞ্চনা উইজেসেকরা। তিনি বলেন, ভোর ৩ টে থেকে তেলের দাম পরিবর্তন হয়ে চলেছে। মন্ত্রিসভার অনুমোদনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরিবহণ এবং অন্যান্য পরিষেবার মূল্যবৃদ্ধিতেও অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রত্যেক ১৫ দিন পর অথবা প্রত্যেক মাসে তেলের দামে বদল হবে বলেও লেখেন তিনি।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে ভারত থেকে ডিজেল (Diesel) রফতানি করা হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। ১২টি জাহাজের (Shipments) মাধ্যমে মোট ৪ লক্ষ মেট্রিক টন (400,000 Metric Tones) জ্বালানি তেল পাঠিয়েছে ভারত। জরুরি ভিত্তিতে খাবার, ওষুধ (Medicine), অত্যাবশ্যকীয় পণ্য কেনার জন্য ভারতের থেকে আর্থিক সহায়তাও নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা।
এবার প্রথম বুধবার চেন্নাই (Chennai) থেকে ত্রাণসামগ্রী বোঝাই জাহাজ শ্রীলঙ্কায় পাঠালেন তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন। প্রথম ধাপে রয়েছে ৯,০০০ মেট্রিক টন চাল, ২০০ মেট্রিক টন গুঁড়ো দুধ এবং ২৪ মেট্রিক টন জীবনদায়ী ওষুধ। যার মোট ভারতীয়মূল্য ৪৫ কোটি টাকা।