
খরচ কমানোর লক্ষ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিল বাংলাদেশ সরকার। দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় আর্থিক সংকটে জেরবার মানুষ। আর্থিক সংকটের কারণে রাজনৈতিক অস্থিরতা সেদেশে। আকাশ ছোঁয়া জিনিসপত্রের দাম। বিপাকে সেদেশের সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার বিস্তীর্ণ অংশে চরম বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাকাল সেখানকার মানুষ।
এবার বিদ্যুৎ-সংকট মোকাবিলায় গোটা বাংলাদেশ জুড়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন দীর্ঘ ২ ঘণ্টাব্যাপী এই লোডশেডিং পরিস্থিতি চলতে পারে। বাংলাদেশ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এখন থেকে গোটা দেশে সপ্তাহে ১ দিন করে পেট্রোল-পাম্প বন্ধ থাকবে। খরচ কমানোর জন্য যে সব বিদ্যুৎকেন্দ্রে ডিজেল ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়, সেখানে উৎপাদন আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকার।
সোমবার একথা জানান শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা তৌফিক ইলাহি চৌধুরী। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার তেজগাঁওয়ের প্রধানমন্ত্রীর দফতরে সোমবার এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উপদেষ্টা তৌফিক ইলাহি চৌধুরী বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। গোটা বিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশেও যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে। বেশ কিছু ধনী দেশের সরকার ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় লোডশেডিংয়ের পথে হেঁটেছে। ফলে খরচ নিয়ন্ত্রণে আনতে উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াতে একই পরিস্থিতি।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ দফতরের প্রতিমন্ত্রী নজরুল হামিদ জানিয়েছেন, কোন কোন এলাকায় লোডশেডিং হবে, তা আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হবে। এক সপ্তাহ ধরে চলবে লোডশেডিং। এলাকা ভিত্তিক পাওয়ার কাটের সম্ভাবনায় উদ্বেগে বাংলাদেশের বাসিন্দারা। এছাড়া মসজিদে এসিতে নিষেধাজ্ঞা। সরকারি-বেসরকারি অফিসের সময় কমতে পারে। রাত আটটার পর বন্ধ থাকবে দোকান-পাট।