বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে নামতেই ফেসবুকে ঝড়ের মতো নেমে এসেছিল একটি সংবাদ। মডেল ও টলিউড অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty) 'অন্তঃসত্ত্বা' (Pregnancy)। হাওয়ায় ভেসে আসেনি এই খবর। অভিনেত্রী নিজেই সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে এই সুখবর দিয়েছিলেন। একটি গোলাপী-নীল ব্যাকগ্রাউন্ডে লেখা ছিল, 'আমি এবং আমার স্বামী অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমি সন্তানসম্ভবা। আপনাদের ভালোবাসা এবং আশীর্বাদ চাই।'
সামাজিক মাধ্যমে ঋতাভরীর লক্ষ লক্ষ ভক্তরা সেই খবর অবশ্য হজম করতে পারেননি। হাজারও প্রশ্ন উঠেছে। কেউ জিজ্ঞেস করেছেন ঋতাভরীর স্বামী কে? কেউ জিজ্ঞেস করেছেন কখন বিয়ে করেছেন? আবার কেউ কেউ বলেছেন, এই খবর আসলে অভিনেত্রীর আসন্ন কাজের প্রমোশন ছাড়া আর কিছুই নয়। এই শেষ ধারণাটি যাদের, তাঁরা ১০০-তে ১০০ পেয়েছেন। কারণ সামাজিক মাধ্যমে ঋতাভরী এবার আসল কথা স্বীকার করেছেন।
ঋতাভরীর আসন্ন ওয়েব সিরিজ 'নন্দিনী'। সেখানেই অন্তঃসত্ত্বার চরিত্রে অভিনয় করবেন ঋতাভরী। ফালাক মীর পরিচালনা করবেন এই সিরিজটির। ১৫ অক্টোবর ওটিটিতে মুক্তি পেতে চলেছে সিরিজটি। পোস্টারে মা দুর্গার আদলও দেখা গিয়েছে। প্রসঙ্গত এই প্রথম ওয়েব সিরিজে ডেবিউ করতে চলেছেন ঋতাভরী। তাই কিছুটা রহস্য রেখে শুরু করেছেন প্রচার কাজ। সিরিজে ঋতাভরী ছাড়াও দেখা যাবে সুহোত্র মুখোপাধ্যায়, দেবযানী চট্টোপাধ্যায়, অলিভিয়া সরকার ও শ্বেতা মৌ ভট্টাচার্যকে।
২০২২ সালের মার্চ মাসে, মাত্র ৫৮ বছর বয়সে প্রয়াত হন টলিউড অভিনেতা (Tollywood Actor) অভিষেক চট্টোপাধ্যায় (Abhishek Chatterjee)। রেখে গিয়েছেন তাঁর স্ত্রী সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায় এবং মেয়ে সাইনা চট্টোপাধ্যায়কে। স্বামী ও বাবা হারানোর শোক তাঁরা ভুলতে পারেননি এখনও। তাঁদের জীবনে এখনও ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন অভিষেক। চট্টোপাধ্যায় পরিবারে এর আগে একসঙ্গে দুর্গাপুজো উদযাপন করতে দেখা যেত। গত বছর সেই নিয়মে ছেদ পড়েছিল।
অভিষেককে ছেড়ে দুর্গাপুজো করতে চাননি তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। তাই গত বছর সংযুক্তা মেয়ে সাইনাকে নিয়ে কলকাতার বাইরে কাটিয়েছিলেন। তবে এই বছর আবারও পুরনো নিয়মে ফিরতে চলেছেন। তাই চট্টোপাধ্যায় পরিবারে এই বছর আবার দুর্গাপূজা হবে। ইতিমধ্যেই দূর্গা ঠাকুরের বায়না করেছেন সংযুক্তা। অন্যান্য প্রস্তুতিও চলছে পাশাপাশি। মেয়ে সাইনা আবদার করেছিল, এই বছর তার লেহেঙ্গা চাই। মেয়ের আবদার রেখেছেন সংযুক্তা। নিজের জন্যও বেশ কিছু শাড়ি কিনেছেন অভিষেক-পত্নী।
সংযুক্তা মনে করেন স্বামী অভিষেক সবসময় তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন। এই দুর্গাপুজোর আয়োজনের আসল চালিকা শক্তি অভিষেকই।
বাংলা সিনেমা ও ধারাবাহিক জগতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya)। বড় পর্দায় অভিনেত্রীর আনাগোনা একটু বেশি হলেও ছোট পর্দাতেও কাজ করেন অভিনেত্রী। চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত অভিনেত্রীকে দেখা গিয়েছিল 'লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার' ধারাবাহিকে। আবারও নতুন চরিত্রে দেখা যাবে অপরাজিতাকে। জনপ্রিয় চ্যানেলের 'জল থই থই ভালোবাসা' ধারাবাহিকে অভিনয় করবেন তিনি। ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকের ঝলক মুক্তি পেয়েছে।
ধারাবাহিকে মূল চরিত্রে অভিনয় করবেন অপরাজিতা। এছাড়াও ধারাবাহিকের কাস্টিং দেখার মতো। অভিনেত্রীর মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করবেন অনুষা বিশ্বনাথন। ছেলের চরিত্রে অভিনয় করবেন অর্ণব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিনেতা চন্দন সেনকে দেখা যাবে অপরাজিতার স্বামীর চরিত্রে। অভিনেত্রী আগেই সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি স্ক্রিপ্ট বাছাই করে ধারাবাহিকে কাজ করবেন। চরিত্র একেবারে অন্যরকম হতে হবে। ধারাবাহিকের ট্রেলারে তা স্পষ্ট। মধ্যবয়সের গতে বাঁধা জীবনে এক টুকুরো খোলা হাওয়া নিয়ে আসবে অপরাজিতার চরিত্র 'কোজাগরী'।
'লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার' ধারাবাহিক শেষ হওয়ার পর থেকে অবশ্য বিশেষ কোনও ধারাবাহিকে দেখা যায়নি অপরাজিতাকে। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, তাঁর পারিশ্রমিক বেশি। ফলে সহজে কোনও পরিচালক তাকে ধারাবাহিকে নিতে চান না। অভিনেত্রী উষ্মা প্রকাশ করে বলেছিলেন, ইদানিং সব ধারাবাহিকই গতে বাধা। তাই চরিত্র অন্যরকম না হলে তিনি ধারাবাহিকে অভিনয় করবেন না তা জানিয়েছিলেন স্পষ্টত।
টলিউড ধারাবাহিকের পরিচিত মুখ মিষ্টি সিং (Misty Singh)। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ধারাবাহিকে অভিনয় করে ফেলেছেন তিনি। কেরিয়ার জীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনও সাজিয়েছেন নিজের মতো করে। চলতি বছরের ১৮ মে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন, দীর্ঘ দিনের প্রেমিক রেমোর সঙ্গে। অভিনয়ের পাশাপাশি নিয়মিত ভ্লগ করেন অভিনেত্রী। তাই বিয়ে পরবর্তী তাঁর বিদেশে হানিমুন ডায়েরিও সকলের দেখা। তবে বিয়ের পাঁচ মাস ঘুরতে না ঘুরতেই মিষ্টির জীবনে সুখবর (Pregnant।
অভিনেত্রীর সামাজিক মাধ্যম খুললেই দেখা যাবে তাঁর বেবি বাম্পের ছবি। যা রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। সকলেই জানতে চাইছেন, এই খবর কী সত্যি? জানা গিয়েছে, মিষ্টি অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন ঠিকই। তবে রিয়েল লাইফে নয়, রিল লাইফে। তাঁর কেরিয়ার জীবনের নতুন ধাপ 'বাংলা মিডিয়াম' ধারাবাহিক। এইখানেই মিষ্টির চরিত্র এক অন্তঃসত্বা মহিলার। ব্যক্তিগত জীবনে মিষ্টি কবে সুখবর দেবেন, তা সময় বলবে।
বাংলাদেশী তথা টলিউড অভিনয় জগতে জনপ্রিয় মুখ জয়া এহসান (Jaya Ahsan)। চারিদিকে তাঁর প্রবল জনপ্রিয়তা। উইকিপিডিয়া বলছে, জয়ার বয়স ৪০। কিন্তু ভক্তরা তা মানতে নারাজ। কিভাবেই বা মানবেন! সামাজিক মাধ্যমে যে ছবিগুলি আপলোড করে থাকেন জয়া, তা দেখে অভিনেত্রীকে বড় জোর ৩০ বলা যায়। তবে আবার কিছু ছবি আপলোড করে ভক্তদের মনে আরও সংশয় বাড়ালেন।
শুক্রবার, সামাজিক মাধ্যমে বেশ কিছু ছবি আপলোড করেছেন জয়া। কোনও এক পুরোনো বাড়ির, পলেস্তারা খসে যাওয়া দেওয়ালের পাশে দাঁড়িয়ে পোজ দিয়েছেন তিনি। পরণে সাদা টপ এবং সবুজ স্কার্ট। বেশ কিছু পোজে ছবি দিয়েছেন। সেসব ছবি দেখে তাঁকে ১৬-এর বেশি মনেই হচ্ছে না। কমেন্ট সেকশনে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তাঁর ভক্তরা।
বাংলাদেশেই জন্ম জয়া এহসানের। সেখানেই অভিনয় জগতে তাঁর হাতেখড়ি। এরপর পরিচালক কৌশিক গাঙ্গুলির হাত ধরে টলিউড সিনেমাজগতে ডেবিউ করেছিলেন। প্রথম সিনেমাতেই জয়াকে কাছের করে নিয়েছিলেন কলকাতার ভক্তরা। এতটাই কাছের, যে ইদানিং জয়াকে কলকাতাতেই বেশি দেখা যায়। চলতি বছর মুক্তি পেতে চলেছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায়, জয়া এহসান অভিনীত ছবি, 'দশম অবতার'।
দেবের পরবর্তী ছবি 'প্রধান'-এর (Pradhan) শ্যুটিং শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গে। সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রীরা এবং গোটা প্রোডাকশন টিম এই মুহূর্তে রয়েছেন সেখানেই। সেখানে মূর্তি নদীর ধরে একটি রিসর্টে তারকাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতদিন সেখানে তারকাদের দিন চলছিল একরকম। তবে বৃহস্পতিবার সকাল শুরু হল, অন্যভাবে। সিনেমার অন্যতম অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু সামাজিক মাধ্যমে এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।
পাইথনের ছবি সহ একটি ভিডিও আপলোড করেছেন তিনি। সেই ভিডিওর নেপথ্যে আসল কাহিনী শোনা গিয়েছে। বিশ্বনাথ খোদ বলেছেন, সকালে এক ভাই তাঁকে ঘুম থেকে ডেকে বলেন, একটি স্যাপ ধরা পড়েছে হোটেলের নিচে। অভিনেতা প্রথমটায় ভেবেছিলেন, সাধারণ সাপ। তবে নিচে গিয়ে তাঁর চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়। ১৫ ফুট লম্বা পাইথন স্যাপ দেখে তিনি রীতিমতো ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। এই ঘটনা তাঁর কাছে একেবারে অপ্রত্যাশিত।
তবে সহ অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী এই পাইথন সাপ দেখে বেশ আনন্দে গদগদ। বিশ্বনাথকে তিনি বলেন, গলায় সাপটি জড়িয়ে একটি ছবি তুলতে। বিশ্বনাথ অবশ্য ভয়ে পিছিয়ে এসেছেন। তবে সোহম ভয় পাননি। তিনি পাইথনটিকে হাতে নিয়ে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন। হাসিমুখে ছবিও তুলেছেন। আবার সেই ছবি সামাজিক মাধ্যমেও পোস্ট করেছেন।
অনেকেই হয়তো জানেন না, আসলে বড় পর্দা দিয়েই অভিনয় জগতে হাতেখড়ি হয়েছিল অভিনেতা আদৃত রায়ের (Adrit Roy)। নূর জাহান, প্রেম আমার ২, পাসওয়ার্ড, পরিণীতার মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। যদিও তাঁকে অভিনেতা হিসেবে খ্যাতি দিয়েছে টেলিভিশন। 'মিঠাই' ধারাবাহিকের 'উচ্ছে বাবু' বলেই তাঁকে দর্শকেরা চেনেন। চলতি বছরের ৯ জুন ধারাবাহিকটি শেষ হয়েছে। তবে তারপর আদৃতকে আর ছোট পর্দায় দেখা যায়নি।
দর্শকেরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে রয়েছেন অভিনেতাকে আবারও ছোট পর্দায় দেখার জন্য। তবে শোনা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে ধারাবাহিকে আদৃতের দেখা পাওয়া খুব মুশকিল। তিনি নাকি আবারও বড় পর্দায় ফিরতে চলেছেন। তবে প্রত্যাবর্তনের জন্য বাণিজ্যিক ছবি বেঁচে নিয়েছেন আদৃত। জানা গিয়েছে, ছবির নাম 'পাগল প্রেমী'। সিনেমার পরিচালক অভিরূপ ঘোষ। প্রযোজনায় থাকবেন 'এসভিএফ'। তবে আদৃতের বিপরীতে নায়িকার চরিত্রে কে অভিনয় করবেন, তা এখনও স্থির হয়নি।
আদৃতের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও দর্শকদের আগ্রহের শেষ নেই। মিঠাই ধারাবাহিকের সেটেই অভিনেতার সঙ্গে আলাপ হয়, সহ-অভিনেত্রী কৌশাম্বী চক্রবর্তীর। তাঁদের মধ্যে প্রেম এখন জমে উঠেছে। প্রেমের নির্ঘোষ না করলেও মাঝেমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে তাঁদের ছবি দেখা যায় একসঙ্গে। এবার কেরিয়ার জীবনও যে আদৃত গুছিয়ে নিতে চাইছেন, তা বড় পর্দায় অভিনয় করার সিদ্ধান্ত থেকেই স্পষ্ট।
অভিনেতা জীতু কমলের (Jeetu Kamal) জীবনে যেন বিচ্ছেদের সময়। মাস কয়েক আগেই সামাজিক মাধ্যমে অভিনেতার স্ত্রী নবনীতা দাস বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা করেছিলেন। জীবন সঙ্গীকে ছুটি দিয়ে, এবার আরও এক সঙ্গীকে ছুটি দিলেন জীতু কমল। নবনীতার সঙ্গে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে মুখ খোলেননি অভিনেতা। তবে এই সঙ্গীকে হারিয়ে সামাজিক মাধ্যমে মনের দুঃখ প্রকাশ করে ফেললেন জীতু।
জীতু এবার তাঁর অর্থ দিয়ে কেনা প্রথম গাড়িটিকে বিদায় জানালেন। সামাজিক মাধ্যমে প্রিয় লাল গাড়িটির কয়েকটি ছবি আপলোড করেছেন অভিনেতা। ভালোবেসে গাড়িটির নাম দিয়েছিলেন, 'লাল ষাঁড়'। ছবিগুলি দিয়ে জীতু ক্যাপশনে লিখেছেন, 'আমার আরেক প্রিয়’র ছুটি হলো। অনেক উঠা-পড়ার সাক্ষী ছিলো এই লাল ষাঁড়। বহু রাতের আশ্রয়ও ছিল আমার ৭২৭২... আজ মিলিয়ে যাওয়ার সময় সত্যিই চোখটা চিক-চিক করে উঠেছিল। কেন! তা লিখে বা বলে বোঝাতে অক্ষম বন্ধু। ছোট্ট ছিলো, কিন্তু বড্ড আপন ছিলো।'
ছোট পর্দা দিয়ে অভিনয় জগতে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন অভিনেতা। 'অপরাজিত' সিনেমায় কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ভূমিকায় অভিনয় করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। এরপরেই একাধিক সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব আসে তাঁর কাছে। জীতুর পরবর্তী সিনেমায় আরও একটি চমক থাকবে। ভিন্ন ধারার, একেবারে নতুন একটি গোয়েন্দা চরিত্র নিয়ে হাজির হবেন অভিনেতা।
টলিউড অভিনয় জগৎ এবং সংগীত জগতে বেশ জনপ্রিয় সাহেব চট্টোপাধ্যায় (Saheb Chatterjee)। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। একদিন আগেই সামাজিক মাধ্যমে বোনের জন্য 'এ পজেটিভ' রক্ত চেয়ে পোস্ট দিয়েছিলেন তিনি। লিখেছিলেন, তাঁর বোন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর জন্যই রক্তের খোঁজ করছিলেন দাদা সাহেব। বহু নেটিজেন তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে রক্ত দিতে রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু সমস্ত চেষ্টাই বিফলে। ছোট বোনকে হারালেন সাহেব চট্টোপাধ্যায়।
বুধবার সামাজিক মাধ্যমে অভিনেতা আরও একটি পোস্ট করে দুঃসংবাদ জানিয়েছেন। সাহেব লিখেছেন, 'আমি খুব দুঃখের সঙ্গে এবং ভগ্ন হৃদয়ে জানাচ্ছি, আমার বোন পিয়াসী চ্যাটার্জি আর নেই। মাত্র তিন দিনেই ডেঙ্গি মেরে ফেলল তাকে। দয়া করে তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করবেন।' এই পোস্টে অভিনেতা ও জানিয়েছেন, যে তাঁর বোনের জন্য আর রক্তের প্রয়োজন পড়বে না। একইসঙ্গে যারা রক্ত দিতে উদ্যত হয়েছিলেন, তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, সাহেব চট্টোপাধ্যায়ের মাসির মেয়ে পিয়াসী চট্টোপাধ্যায়। তবে ছোট বেলা থেকেই একসঙ্গে বড় হয়েছেন তাঁরা। তাই একে অপরের প্রতি খুব টান। মাত্র ৪০ বছর বয়স প্রয়াত বোনের, স্বাভাবিকভাবেই দাদা সাহেব মর্মাহত তাঁকে হারিয়ে।
টলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকারের (Priyanka Sarkar) জীবন এখন জমজমাট। ব্যক্তিগত জীবনের পাশাপাশি কেরিয়ার জীবনেও নতুন অধ্যায়ে পদার্পন করতে চলেছেন তিনি। বাংলা সিনেমা জগতে নাম-যশ-খ্যাতি অর্জন করার পর এবার হিন্দি (Hindi Debut) ছবির জগতে ভাগ্য পরীক্ষা করবেন তিনি। ইতিমধ্যেই নাকি প্রায় সব ঠিক হয়ে গিয়েছে। পরিচালক অনিক চৌধুরীর হাত ধরেই, ফিচার ফিল্মে ডেবিউ করবেন প্রিয়াঙ্কা।
অভিনেত্রীর বিপরীতে দেখা যাবে জনপ্রিয় অভিনেতা শারিব হাশমি-কে। ইতিমধ্যেই 'দ্য ফ্যামিলি ম্যান', 'তরলা', 'ফিল্মিস্তান'-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন অভিনেতা। প্রিয়াঙ্কাকে দেখা যাবে তারি বিপরীতে অভিনয় করতে। অনিক চৌধুরী পরিচালিত এই ফিচার ফিল্মের নাম 'দ্যা জেব্রাস'। প্রিয়াঙ্কাকে দেখা যাবে মডেলের চরিত্রে।
এই ফিচার ফিল্ম নিয়ে বেশ আশাবাদী পরিচালক। খুব তাড়াতাড়ি নাকি প্রোডাকশনের কাজ শুরু হতে চলেছে। প্রিয়াঙ্কাকে শেষবার দেখা গিয়েছিল শ্রীজাত পরিচালিত সিনেমা মানবজমিন-এ। প্রথম হিন্দি ডেবিউতে অভিনেত্রী নিজেকে কতটা প্রমান করতে পারেন সেইটাই দেখার।
পরনে উলের সোয়েটার, লম্বা লাল প্যান্ট আর মাথায় টুপি। ছোট্ট বাচ্চাটির চোখে মুখে সরলতার ছাপ। ছবিটি যে কোনও স্টুডিওতে তোলা হয়েছিল তা বোঝাই যাচ্ছে। স্মৃতির অ্যালবাম থেকে এই ছবিটিই তুলে এনেছেন অভিনেতা। শুধু তাই নয়, সামাজিক মাধ্যমে ভক্তদের জন্যও এই ছবি শেয়ার করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, 'তখনও সরল ছিলাম, আজও সরল।' যদিও অভিনেতা শেয়ার না করলে বোঝাই যেত না ছোটোবেলাটি আসলে কার।
যখন এই ছবিটি তোলা হয়েছিল বাচ্চাটি জানতই না, বড় হয়ে খুব নাম করবে সে। টলিউডে সে অর্থে কোনও গড ফাদারের প্রয়োজন পড়বে না। প্রথম ছবি থেকেই খুলে যাবে ভাগ্যের চাকা। বাচ্চাটি জানত না, তাকে আর ঘুরে তাকাতে হবে না। আপামর পশ্চিমবঙ্গবাসী তাঁকে ভালো মনের মানুষ হিসেবে চিনবে। বাচ্চাটি আরও জানত না, বহু দর্শককে সে নিজের কমেডি টাইমিং দিয়ে হাসাবে। বাচ্চাটি এও জানত না, তাঁর কয়েকটি শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত মন্তব্য নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা হবে। বাচ্চাটি একেবারেই জানত না, একসময় 'অঙ্কুশ হাজরা' এক নাম পরিচিত হবে।
হ্যাঁ, সেদিনের ছোট্ট বাচ্চাটি আজকের অঙ্কুশ হাজরা। সামাজিক মাধ্যমে অভিনেতাই নিজের ছোটবেলার এই ছবিটি শেয়ার করেছেন। তিনি যে ছোটবেলায় 'সরল' ছিলেন তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। নেইজেনদের বেশিরভাগই এই ছবির প্রশংসা করেছেন। অনেকে আবার যথারীতি ট্রোলও করেছেন।
৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস পালিত হয়েছে দেশজুড়ে। একটা সময় ছিল যখন কেবল প্রাতিষ্ঠানিক গুরুদের জীবনের একমাত্র শিক্ষক মানা হত। তবে জীবন জোয়ারে অনেকটা সময় কাটিয়ে সকলে বুঝতে পারে, চারপাশ থেকে কত কিছুই তো শেখার রয়েছে। ঠিক এমনই উপলব্ধি, টলিউড অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তীর (Tanusree Chakraborty)। সামাজিক মাধ্যমে নিজের ছবি পোস্ট করে সেকথা লিখেছেন তিনি।
মঙ্গলবার নিজের বেশ কিছু ছবি সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করেছেন অভিনেত্রী। সাদা বাথরোবে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে। খোঁপা করে বাধা চুল। চোখে উইং আইলাইনার, ন্যুড লিপস্টিক আর কানে লম্বা ঝোলানো দুল। ছবি দেখেই মনে হচ্ছে, নিজের মনে কি যেন ভাবছেন অভিনেত্রী।
ক্যাপশনে লিখেছেন নিজের উপলব্ধি। তনুশ্রী লিখেছেন, 'সব কিছুর ঊর্ধ্বে নিজেকে ভালোবাসা, নিজেকে দেওয়া সবচেয়ে বড় উপহার।' কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছিল তাঁর অভিনীত ছবি মায়া। এখন ব্যস্ত রয়েছেন একটি শর্ট ফিল্মের শ্যুটিংয়ে।
টলি পাড়ায় অভিষেকের পর থেকেই অভিনেতা টোটা রায় চৌধুরী যেন ব্রাত্য হয়েছিলেন। চেহারায়-অভিনয়ে -নাচে পারদর্শী টোটাকে (Tota Roy Chowdhury) যেন তলিয়েই দেখেননি পরিচালকেরা। বরং অন্যান্য অভিনেতাদের ভিড়ে তিনি যেন হারিয়ে গিয়েছিলেন কোথাও। বাংলা সিনেমার পরিচালকেরা যাকে বিশেষ গুরুত্ব দেননি, সেই রত্নকে সকলের সামনে অন্যভাবে উপস্থাপন করেছেন বলিউড পরিচালক করণ জোহার। সম্প্রতি 'রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি' সিনেমায় চন্দন চৌধুরীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন টোটা।
সিনেমা মুক্তির পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে প্রশংসার বন্যা বয়েছে। নতুন চরিত্রের জন্য নিজেকে ভেঙে আবার যে গড়ে নিতে পারেন, তা প্রমান করে দিয়েছেন অভিনেতা। এরপরেই টলি পাড়ার পরিচালকেরা তাঁর দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। কিছুদিন আগেই টোটা অভিনীত ওয়েব সিরিজ 'নিখোঁজ' মুক্তি পেয়েছিল। বর্তমানে অভিনেতা আরও একটি ওয়েব সিরিজের শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। এই কাজটি শেষ হলেই নাকি আরও একটি নতুন কাজ শুরু করবেন অভিনেতা।
শোনা যাচ্ছে, এবার অভিনেত্রী রাইমা সেনের বিপরীতে দেখা যাবে টোটাকে। তবে ছোট ওটিটি নয়, একেবারে বড় পর্দার জন্য জুটি বাঁধছেন তারকারা। প্রতিম দাশগুপ্ত পরিচালিত ছবিতে নাকি একসঙ্গে দেখা যাবে টোটা-রাইমাকে। ইতিমধ্যেই নাকি চরিত্রের লুক টেস্টও হয়ে গিয়েছে। তবে খুব তাড়াতাড়ি শ্যুটিং শুরু হবে না ছবির। এখনও নাকি প্রি প্রোডাকশনের কাজ চলছে সিনেমাটির।
অভিনেতা দেবের সময়টা বেশ ভালোই যাচ্ছে টলিউডে। চলতি বছরে মুক্তি পেয়েছে দেব (Dev) অভিনীত ছবি 'ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্য' । আগামী দুর্গাপুজোয় মুক্তি পাবে দেব অভিনীত ছবি 'বাঘা যতীন'। এরই মাঝে আরও একটি ছবির ঘোষণা করেছিলেন দেব। কয়েক মাস আগেই একদা বাংলার কুখ্যাত 'রঘু ডাকাত'-কে নিয়ে সিনেমার পোস্টার প্রকাশ্যে এনেছিলেন। কিন্তু এরপর আর কোনও তথ্য দেননি দেব। দর্শকদের মধ্যে গুজব, চলতি বছর কালীপুজোয় আসতে পারে ছবিটি। সত্যিই কী তাই?
বেশ কিছুদিন ধরেই সামাজিক মাধ্যমে এই নিয়ে চর্চা। বিশেষ করে চলতি বছর কালীপুজোয় রঘু ডাকাত আসছে, এমন অনেক তথ্যে ছয়লাপ হয়েছে ইউটিউব। যদিও এই তথ্য একেবারেই সত্যি নয়। দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চার্সের যুগ্ম প্রযোজনায় ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত 'রঘু ডাকাত' সিনেমা তৈরির গতি এখনও শ্লথ। ছবির শ্যুটিং শুরু হওয়া তো দূরের কথা। এখনও নাকি সিনেমার স্ক্রিপ্টের কাজও শেষ হয়নি।
অভিনেতা দেব 'রঘু ডাকাত' -এর পোস্টার সামাজিক মাধ্যমের পর্দায় দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর থেকে আর কোনও তথ্য তিনি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেননি। তিনি এখন ব্যস্ত রয়েছেন 'প্রধান'-এর শ্যুটিংয়ে উত্তরবঙ্গে। অন্যদিকে সামাজিক মাধ্যমে তাঁর আসন্ন ছবি 'বাঘা যতীন'-এর প্রচার কাজ সারছেন।
বাঘাযতীন, ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্যের কাজ শেষ করে এবার নতুন ছবি 'প্রধান'-এর শ্যুটিং শুরু করেছেন দেব (Dev)। কিন্তু শ্যুটিংয়ের প্রথম দিনেই দুঃসংবাদ দিয়েছিলেন তিনি। সামাজিক মাধ্যমে দেব লিখেছিলেন, 'প্রথম দিনের শ্যুটিং। এদিকে আমি জ্বরে কাবু।' একথা শুনে স্বাভাবিকভাবেই নেটিজেন ও দেবের ভক্তদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল। পশ্চিমবঙ্গে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি। তাই রটে গিয়েছিল ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। সত্যিই কী তাই?
জানা গিয়েছে, প্রধানের শ্যুটিংয়ের প্রথম দিনে দেবের জ্বর এসেছিল ঠিকই তবে দ্বিতীয় দিন থেকে তা উধাও হয়েছে। দেব এখন চুটিয়ে অভিনয় করছেন। জ্বর আসার পর দেবের রক্ত পরীক্ষাও করে দেখা হয়েছে, রেজাল্টে পাওয়া গিয়েছে ডেঙ্গি হয়নি দেবের। এই মুহূর্তে সিনেমার টিম উত্তরবঙ্গে শ্যুটিং করছে। তবে ডেঙ্গি হওয়ার ভুয়ো খবরে নাকি দেব বিরক্তই হয়েছেন। যদিও স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে, এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি তিনি।
প্রধানের শ্যুটিংয়ের পাশাপাশি দেব ভার্চুয়ালি 'বাঘাযতীন' সিনেমার প্রচারও করছেন। চলতি বছর দুর্গাপুজোর আগেই ২০ অক্টোবর মুক্তি পেতে চলেছে সিনেমাটি। ইতিমধ্যেই দেবের চরিত্রের ঝলক এবং টিজার দেখে দর্শকদের আগ্রহ বেড়েছে 'বাঘাযতীন' নিয়ে। স্বাধীনতা সংগ্রামীর চরিত্রে দেব কতটা দর্শকদের মন জয় করতে পারেন সেটাই দেখার।