বাঙালি-বিদ্বেষী মন্তব্যের জেরে পরেশ রাওয়ালকে পড়তে হয় আইনি জটিলতার মুখে।অভিনেতা তথা বিজেপি (BJP) সাংসদ পরেশ রাওয়াল (Paresh Rawal) গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন। এবার অভিনেতাকে এক হাতে নিলেন বাঙালি অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী (Ritwick Chakraborty)।
বিয়য়টি কী ঘটেছিল? গুজরাটের ভোটপ্রচারে গিয়ে বিজেপি সাংসদ পরেশ গত মঙ্গলবার একটি সভায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, 'বর্তমানে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম যথেষ্ট বেশি, তবে এই দাম কমে যাবে। সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থানও হবে। কিন্তু রোহিঙ্গা বা বাংলাদেশিরা আপনাদের পাশেই বসবাস শুরু করলে কী হবে? তখন আপনি গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে কী করবেন? বাঙালিদের জন্য মাছ রান্না করবেন? গুজরাটের মানুষ মূল্যবৃদ্ধি সহ্য করে নেবে, কিন্তু এটা নয়…' যদিও এই মন্তব্যের জন্য ২ ডিসেম্বর তিনি ক্ষমা চান। কিন্তু বিতর্ক এখনও থামেনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঋত্বিকের ভেন্ট্রিলিক্যুইজ়ম বেশ জনপ্রিয়। এক পুতুল নিয়ে নেটপাড়ায় হাজির হচ্ছেন তিনি। বিনোদনের পাশাপাশি নানা বিতর্কিত বিষয় নিয়েও কথা বলেন। তবে সঙ্গী সেই পুতুল। এক্ষেত্রেও পরেশকে নিয়ে হাতের পুতুল কড়া জবাব দিয়ে বসে। ঋত্বিকও সেটাকে মজার ছলে বলেন, তাঁর হাতের পুতুলটি পুরোপুরি হাতের বাইরে চলে গিয়েছে।পুতুলের 'বড়দা'র ভূমিকায় রয়েছেন তিনি। আর ঠোঁট কাটা পুতুলের রয়েছে সব বিষয়ে জ্ঞান। কিছু জিজ্ঞাসা করলেই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে উত্তর।
পরেশের প্রসঙ্গে বড়দার পুতুল বলে বসে 'পারশে বাওয়াল'। সঙ্গে সঙ্গে ঋত্বিক ভুল ধরিয়ে দিয়ে বলেন, না ওটা পরেশ রাওয়াল। তার কাছে ঋত্বিক জানতে চান, সে নাকি বাঙালিদের অপমান করেছে? সময় না ব্যয় করে বলে বসে ‘গাধার ডাকে কি তানসেন অপমানিত হয়?’
প্রসঙ্গত, গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বাঙালি-বিদ্বেষী মন্তব্যের পর, তাঁর বিরুদ্ধে দিন কয়েক আগেই এফআইআর দায়ের করেছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। একই পথে হেঁটে এবার পরেশের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল কলকাতা পুলিসও।
পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে ১৫৩ (অশান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে উস্কানি), ১৫৩এ (বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতার প্রচার), ১৫৩বি (ভাষাগত বা জাতিগত গোষ্ঠীর অধিকার অস্বীকার করা), ৫০৪ (উস্কানির উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত অপমান) ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিনেতার মন্তব্য খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা।
প্রয়াত দূরদর্শনের অন্যতম সফল ধারাবাহিক ‘জননী’র পরিচালক বিষ্ণু পাল চৌধুরী। বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয় বিষ্ণুবাবুর। ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ায় দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন তিনি। চিকিৎসার জন্য মুম্বই গিয়ে কেমো নিয়েছিলেন এই প্রবীণ পরিচালক। তারপর ৬ ডিসেম্বর কলকাতায় ফেরেন। ফিরে এসেই শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয় তাঁর। তখনই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয় বিষ্ণু পাল চৌধুরীর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭।
জানা গিয়েছে, তিন সপ্তাহ পর আবার কেমো নেওয়ার কথা ছিল প্রয়াত পরিচালকের। প্রসঙ্গত, নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘জননী’র হাত ধরেই ইন্ডাস্ট্রিতে খ্যাতিলাভ করেন বিষ্ণু পাল চৌধুরী। প্রয়াত অভিনেত্রী সুপ্রিয়া দেবী অভিনীত এই ধারাবাহিক এখনও পর্যন্ত অন্যতম দীর্ঘ মেগা হিসাবে স্বীকৃত।
তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি বিগত বছরে। ছোট্ট ঈশানের পিতৃ পরিচয় নিয়ে এককথায় তোলপাড় হয়েছে বাংলার বিনোদন জগত। সেই সঙ্গে তুমুল বিতর্ক এবং চর্চা চলেছে অভিনেত্রী তথা বসিরহাটের সাংসদ নুরসত জাহান (Nusrat Jahan) এবং অভিনেতা যশ দাশগুপ্তর (Yash Dasgupta) সম্পর্ক নিয়ে। কিন্তু সেসব বিতর্কের ঝড় থেমে গিয়েছে এখন। প্রাক্তন স্বামী নিখিল জৈনের (Nikhil Jain) সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন থেকেও বেরিয়ে এসেছেন তিনি। এখন সুখেই ঘরকন্না করছেন নুরসত ও যশ। এতদূর গল্পটা ঠিকই ছিল। কিন্তু এরই মধ্যে ছন্দ পতন, এবার নাকি সকলকে জানিয়েই ঝগড়ায় সামিল এই তারকা জুটি! তাও আবার এক আধদিন নয়, রোজ সকালেই চলছে এই কোন্দল।
প্রেম ভালবাসার মধ্যেই এবার প্রকাশ্যে যশরতের এই ঝগড়া নাকি পৌঁছেছে হাতাহাতি পর্যন্ত! কিন্তু এমন কী হল যাতে এই অবস্থায় এসেছে দুজনের সম্পর্ক? অবশ্য রহস্য খুললেন খোদ যশ। আসলে নুসরত ও যশ দুজনেই চুরান্ত কফিপ্রেমী। আর সেক্ষেত্রে একে অপরকে বিনা যুদ্ধে এক চুমুক কফির ভাগ দিতেও নারাজ। আর সেই নিয়েই শীতের দিন সকালে ঝমেলা হয় দুজনের। আর এই খুনসুটি বেশ তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছেন ভক্তরা।
উল্লেখ্য, টলিউড থেকে এখন মুম্বইতেও কাজ করছেন যশ। শীঘ্রই তাঁকে দেখা যেতে চলেছে দিব্যা খোসলা কুমারের বিপরীতে। অপরদিকে এই সিজনে বিগ বসের ঘরে অতিথি হওয়ার ডাক পেয়েছিলেন নুসরত। কিন্তু ঈশান ছোট বলে এই অফার ফিরিয়েছেন তিনি।
‘ও লাভলি’- শনিবার ৬৮-তে পা দিলেন। বয়সের দিক থেকে বৃদ্ধ হলেও মন কিন্তু একেবারে ‘কালারফুল বয়'। এতক্ষণে হয়তো বুঝতে পেরে গিয়েছেন, কার কথা আলোচনা করা হচ্ছে। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan MItra) জন্মদিনের (Birthday) কথা বলা হচ্ছে। সেদিন গোটা কামারহাটি মেতে উঠেছিল তাদের প্রিয় দাদার জন্মদিন পালনে। এত কেক কেটেছেন যে তার হিসেব রাখা সত্যি অসম্ভব। আর এদিন মদন মিত্রের জন্মদিনে চার চাঁদ লাগালেন অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার (Madhumita Srakar)।
বিশেষ দিনটিতে দাদাকে শুভেচ্ছে জানাতে চলে এলেন কামারহাটি। দাদাকে পাশে দাঁড় করিয়ে মোমবাতি লাগিয়ে কেক কাটলেন। এরপর নিজের হাতে সেই কেক খাইয়েও দিলেন মধুমিতা। জন্মদিন উদযাপনের ভিডিও নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী নিজেই।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মধুমিতা ছাড়াও সেদিন উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী শ্রীতমা ভট্টাচার্য। এছাড়া মদন মিত্রের ছেলের বউ মেঘনা। ধুতি-পাঞ্জাবিতে একেবারে 'ও লাভলি' লাগছিল প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রীকে। চোখে সেই পরিচিত চশমা, গলায় রজনীগন্ধার মালা। মধুমিতাকে দেখা গিয়েছে ব্ল্যাক ক্রপ টপ ও ডেনিম জ্যাকেটে। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পর থেকেই শোরগোল পড়ে যায়।
নেট নাগরিকরা কেউ কেউ কালারফুল বয়ের রঙিন জীবন উপভোগ করার প্রশংসা করেছেন। তবে বিদ্রুপ মন্তব্যের ঝড় তুলেছেন অনুরাগীরা। কেউ মজার ছলে লিখেছেন, ‘সবাইকে নিয়ে কাতার গেছেন নাকি?’; আবার কেউ মন্তব্য করেছেন, “আরে বাহ! এই বয়সেও ঠাকুরদা পাখি ধরছেন!”
মদন মিত্র তাঁর নারীসঙ্গ এবং তার ব্যক্তিগত জীবনের জন্য সমালোচনায় থাকেন। নানারকম বিদ্রুপের মুখে পড়তে হয়। তবে এসবে বেশি কান দেন না তিনি। তাই আজও মদন মিত্র রাজ্য রাজনীতির এক ‘কালারফুল বয়’।
লড়াই কিছুটা কমলেও এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। গত সোমবার ৬দিনের লড়াই শেষে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট থেকে জেনারেল বেডে ফিরেছেন তিনি। এরপর থেকে শারীরিক অবস্থা একই রয়েছে ঐন্দ্রিলার (Aindrila Sharma)। উন্নতির দিকে এগোচ্ছেন ফাইটার টেলি নায়িকা। তবে রয়ে গিয়েছে স্নায়ুজনিত সমস্যা। জ্ঞান এখনও ফেরেনি, এমনটাই হাসপাতাল সূত্রে খবর।
তবে এখনও ‘সি প্যাপ’ সাপোর্টে রয়েছেন। কিন্তু শারীরিক যে সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল, তা এখন নিয়ন্ত্রণে। চলছে কড়া অ্যান্টিবায়োটিকও। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন ঐন্দ্রিলা, এমনটাই প্রার্থনা সকলের। পরিবারের পাশাপাশি ঐন্দ্রিলার সব যুদ্ধের এক ও অন্যতম সঙ্গী বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরী। বন্ধুকে সুস্থ করেই তবে বাড়ি ফিরবেন। এই ধ্যানে মগ্ন সব্যসাচী। তাই সব ভুলে হাওড়ার ওই বেসরকারি হাসপাতালেই পড়ে রয়েছেন ছোট পর্দার বামাক্ষ্যাপা।
মঙ্গলবার “সাড়া দিচ্ছেন ঐন্দ্রিলা”, এই সুখবর নিজেই জানান সব্যসাচী। জ্ঞান না ফিরলেও শ্বাসজনিত কাজ অনেকটা স্বাভাবিক, জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া 'এক্সটার্নাল স্টিমুলি’র মাধ্যমে অভিনেত্রীকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
সকলেই এখন জানতে চান তাঁদের প্রিয় অভিনেত্রী কেমন আছেন? মঙ্গলবারে হঠাৎ ব্রেন স্ট্রোক (Brain stroke) হয় ছোট পর্দার অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার (Aindrila Sharma)। এরপর থেকে ৭২ ঘন্টা কেটে গিয়েছে। প্রতি মুহূর্তের খবর জানার জন্য উদগ্রীব ভক্তমহল। বর্তমানে হাওড়ার (Howrah) একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অস্ত্রোপচার করার পর নিউরো আইসিইউতে রাখা হয়েছে তাঁকে। ঐন্দ্রিলার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন সকলে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, এখনও সঙ্কটজনক অবস্থায় ঐন্দিলা। তেমন একটা উন্নতি হয়নি পরিস্থিতির। এখনও জ্ঞান ফেরেনি, বৃহস্পতিবার রাতে ঐন্দ্রিলার রক্তচাপ ছিল ১১০/৭০। আর পালস্ রেট ছিল প্রতি মিনিটে ১১২। একেবারেই বিপদমুক্ত নয় টেলি নায়িকা। আর এই চরম সঙ্কট মুহূর্তে আগের মতোই তাঁর পাশে রয়েছেন সর্বক্ষণের সঙ্গী সব্যসাচী চৌধুরী। আইসিইউর কাছে যাতে কেউ যেতে না পারে তার জন্য রয়েছে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে ঐন্দ্রিলার রক্তচাপ ছিল ১১০/৭০ আর পালস্ রেট প্রতি মিনিটে ১১২। অস্ত্রোপচারের পর নিউরো আইসিইউতে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অভিনেত্রীকে। ঐন্দ্রিলার পাশে সর্বক্ষণ রয়েছেন বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরী। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রাখা হয়েছে নায়িকাকে। চিকিৎসক ছাড়া আর কারও প্রবেশ নিষেধ।
বুধবার জানা গিয়েছিল, বাঁ হাত সামান্য নাড়াচাড়া করতে পারলেও শরীরের একদিক পুরো অসাড়। তা ছাড়া শুধু চোখ নড়ছে। খানিকটা স্বস্তি এখানেই, ঐন্দ্রিলার বয়স কম হওয়ায় ঝুঁকি কিছুটা হলেও কম। সবে কিছুদিন হয়েছে ক্যান্সারের মতো মরণ রোগের সঙ্গে লড়াই করে ফিরেছেন তিনি। সুস্থও হয়ে উঠেছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন পরে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। এদিকে, ঐন্দ্রিলার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে গুজব না ছড়াতে অনুরোধ করেছেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। রীতিমতো ফেসবুক পোস্ট করে ঐন্দ্রিলার এই বিশেষ বন্ধু জানান, ঐন্দ্রিলা লড়ছে, সঙ্গে লড়ছে একটা গোটা হাসপাতাল। ওকে নিজের হাতে নিয়ে এসেছিলাম, নিজের হাতেই বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাবো।
উল্লেখ্য, এই মাসে দিল্লি যাওয়ারও কথা ছিল ঐন্দ্রিলার। ওয়েব সিরিজেও কাজ করেছেন তিনি। তাঁর অভিনয় সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এখন অপেক্ষা কেবল ঐন্দ্রিলার সুস্থ হয়ে ওঠার।
সবে কিছুদিন হয়েছে ক্যান্সারের (Cancer) মতো মরণ রোগের সঙ্গে লড়াই করে ফিরেছেন তিনি। সুস্থও হয়ে উঠেছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন পরে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। এর মধ্যেই ফের দুঃসংবাদ তাঁর ভক্তদের জন্য। মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ ব্রেন স্ট্রোক (Brain stroke) ছোট পর্দার অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার (Aindrila Sharma)। বর্তমানে অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালের ভেন্টিলশনে রয়েছেন অভিনেত্রী। অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। আচমকাই মঙ্গলবার রাতে ব্রেন স্ট্রোক হয়ে মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে যায়। হাওড়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি অভিনেত্রী। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ব্রেন স্ট্রোক হয়ে মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে। এর ফলেই অবস্থা গুরুতর হয়েছে।
যদিও স্বস্তির বিষয়, বুধবার কিছুটা শারীরিক উন্নতি হয়েছে ঐন্দ্রিলার। বাঁ হাত সামান্য নাড়াচাড়া করতে পারলেও শরীরের একদিক পুরো অসাড় এখনও। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ৪৮ ঘণ্টা না কাটলে ভালোমন্দ কিছু বলা যাবে না। দীর্ঘ লড়াইয়ে জিতে অবশেষে টেলি দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন তিনি। সম্প্রতি জ়ি বাংলা অরিজিনাল ছবি ‘ভোলে বাবা পার করেগা’- তে অনির্বাণ চক্রবর্তীর মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঐন্দ্রিলা।
এই খবরে একেবারে ভেঙে পড়েছেন তাঁর কঠিন লড়াইয়ের সঙ্গী তথা প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী। এমনকি গোটা টলিপাড়া এখন ঐন্দ্রিলার সুস্থ হয়ে ওঠার অপেক্ষায়। ভক্তরাও প্রার্থনা করছেন।
জীবনের এবং অভিনয়ের রঙ্গমঞ্চ থেকে চিরকালের জন্য বিদায় নিলেন প্রখ্যাত অভিনেত্রী (Actor) সোনালী চক্রবর্তী (Sonali Chakraborty)। সোমবার ভোরে কলকাতার (Kolkata) এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষনিঃশাস (Death) ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন অভিনেত্রী। পেটে জল জমার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। তবে তা ছাড়া শরীরে আরও নানা ধরনের জটিলতা ছিল। একইসঙ্গে ডায়াবেটিস, থাইরয়েড এবং লিভারের সমস্যা ছিল।ভেন্টিলেশনে রেখেও তাঁর চিকিৎসা করা হয়৷ চিকিৎসকরা আশ্বাস দিয়েছিলেন আবার অভিনয়ে ফিরতে পারবেন সোনালি৷ কিন্তু সব স্বপ্নই অধরা রয়ে গেল। বাংলা বিনোদন জগতে সোনালী চক্রবর্তী অভিনেতা শঙ্কর চক্রবর্তীর স্ত্রী। তাঁর মৃত্যুর খবর প্রথম জানান খোদ অভিনেতা শঙ্কর।
সোনালীর প্রয়াণে মুখ্যমন্ত্রীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, "বিশিষ্ট অভিনেত্রী সোনালি চক্রবর্তীর প্রয়াণে আমি গভীর শোকপ্রকাশ করছি। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র দাদার কীর্তি, সংসার সংগ্রাম ইত্যাদি। চলচ্চিত্র ছাড়াও জননী, গাঁটছড়া ইত্যাদি জনপ্রিয় টিভি সিরিয়ালে তিনি অভিনয় করেছেন। তাঁর মৃত্যু অভিনয় জগতের এক বড় ক্ষতি। আমি সোনালি চক্রবর্তীর স্বামী শংকর চক্রবর্তী-সহ পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।"
শোকস্তব্ধ গোটা বিনোদন জগৎ তথা টলিউড। সকাল থেকেই একের পর এক টুইট করে শোকপ্রকাশ করছেন সকলে। কিডনি ফেলিওর হয়েই মৃত্যু হয়েছে সোনালির বলে জানান শঙ্কর চক্রবর্তী। সূত্রের খবর, কেওড়াতলা মহাশ্মশানে সোনালি চক্রবর্তীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
উল্লেখ্য, গাঁটছড়া ধারাবাহিকই তাঁর জীবনের শেষ অভিনীত ধারাবাহিক ছিল। ওই সিরিয়ালে কেন্দ্রীয় চরিত্র শোলাঙ্কির জেঠিমার ভূমিকায় দেখা যেত তাঁকে। কিন্তু, শ্যুটিং চলাকালীন একাধিকবার অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে বেশি কিছু দৃশ্যে দেখা যায়নি। তাঁর অন্যতম অনবদ্য কাজ 'দাদার কীর্তি' ছবি।
প্রসূন গুপ্ত: তিনি বেঁচে থাকলে আজ ৯৬-এ পা দিতেন। কিন্তু বাঙালির ম্যাটিনি আইডল উত্তমকুমার আজ ইতিহাস। আজকের প্রজন্মের কতজন জানেন যে ৫০ থেকে ৭০-এর দশক অবধি উত্তমকুমার মানে বাঙালির অরিন্দম, সব্যসাচী, অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি, কৃষ্ণেন্দু। তৎকালীন মহিলারা মহানায়কের একটু ছোঁয়া পেতে পাগল ছিলেন। তাঁরা চাইতেন, মনের মানুষটিও যেন উত্তম কুমারের মতো হয়। তাঁকে যেন অনায়াসেই বলতে পারি, ও যেন আমাকে টাচ না করে। সে সময়ে আট-আশি সব প্রজন্মের মহিলার কাছে উত্তম মানেই 'কে প্রথম কাছে এসেছে...।' এহেন উত্তমের জীবনের বহু ঘটনা রয়েছে যা অনেকটাই তাঁর প্রয়াণ বা জন্মদিবসে চর্চিত।
উত্তম কুমার নিজে খুব ভালো গান গাইতে পারতেন। কিন্তু কোনওদিনও নিজে সিনেমায় গান করেননি। তবে সুর দিয়েছেন। ফলে উত্তমের লিপে যেকোনও গান গ্রহণযোগ্য হতো, হিট করতো। উত্তমের কণ্ঠস্বরের সঙ্গে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠ একদম হুবহু মিলে যেত। পরবর্তীতে মান্না দে গাইতেন, যা আধুনিক উত্তমের সঙ্গে ম্যাচ করে যেত। শ্যামল মিত্র উত্তমের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন, তিনিও উত্তমের গান গেয়েছেন। শ্যামল মিত্রের কণ্ঠ আর উত্তম কুমারের লিপে কালজয়ী 'আমি চেয়ে চেয়ে দেখি সারদিন' আজও বাঙালির নস্টালজিয়া। এ ছাড়া মানবেন্দ্র বা সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ও গান করেছেন উত্তমের লিপে।
এবার রইলো বাকি কিশোরকুমার। কিশোর প্রধানত বলিউডি শিল্পী ছিলেন। ১৯৬৯-এ 'রাজকুমারী' বলে একটি ছবিতে মুম্বই থেকে রাহুল দেব বর্মনকে সুর করতে নিয়ে আসা হয়েছিল। রাহুল বাংলার শিল্পীদের সঙ্গে খুব একটা ঘনিষ্ঠ ছিলেন না। রাহুলের প্রিয় শিল্পী ছিলেন কিশোর, ফলে রাজকুমারীর সমস্ত গান যা উত্তমের লিপে ছিল তা কিশোরকে দিয়ে গাওয়ালেন। ছবিটি হিট করেনি, তবে গানগুলি কিন্তু খুবই হিট করেছিল। তাহলেও বাংলার পত্রপত্রিকা চূড়ান্ত সমালোচনা করলো, ছবিতে কেন উত্তমের সঙ্গে মিসফিট কিশোরকে গান করানো হলো। এরপর আর কেউ চট করে কিশোরকে দিয়ে উত্তমের গান করাননি। এরপরই আসলো চমক। ১৯৭৫-এ মুম্বইয়ের শক্তি সামন্ত দো-ভাষী 'অমানুষ' করবেন ঠিক করলেন। সেই মতো উত্তম এবং শর্মিলাকে নেওয়া হলো। সুরকার হিসাবে নেওয়া হলো উত্তমের বন্ধু শ্যামল মিত্রকে। শক্তিবাবু শ্যামলবাবুকে পরিষ্কার জানালেন হিন্দি ভার্সনে কিশোরকে দরকার। শ্যামল জানালেন সমস্ত গানই কিশোর গাইবে দুটি ভাষাতে।
কিশোরের সঙ্গে শ্যামলবাবু বসলেন এবং রাজকুমারী ছবির ফ্লপের কথা বললেন। কিশোর জানালেন চিন্তা নেই, এবার আর তা হবে না। তারপর কিশোর একেবারে উত্তমের কণ্ঠস্বর নকল করে সমস্ত গান গাইলেন। গান এবং ছবি সুপারডুপার হিট। অবশ্য এই ছবিতে উত্তমের অবদানও কম নয়। তিনিও একেবারে দেহাতি ঢঙে পুরো ছবিতে গলার কাজ করেছিলেন। এরপর বাকি উত্তম-কিশোর জুটি তো ইতিহাস।
সামাজিক মাধ্যমে তীব্র বিতণ্ডায়(War of words) জড়ালেন টলিউড (Tollywood) প্রযোজক রাণা সরকার এবং অভিনেতা জয়জিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Joyjit Banerjee)। এই বিতণ্ডার সূত্রপাত অভিনেতা জয়জিতের সাম্প্রতিক এক ফেসবুল পোস্ট ঘিরে। সেই পোস্টে অভিনেতা লেখেন, 'এক প্রযোজক প্রথমে আর্টিস্ট থেকে ভেন্ডর সবার টাকা মারে। নামকরা কবি থেকে অভিনেতা-পরিচালককে নিয়ে ছবি শুরু করে মাঝপথে বন্ধ করে দেয়। নির্লজ্জের মতন সোশ্যাল মিডিয়ায় জ্ঞানদান করে আর সবার সঙ্গে ছবি দেয়। আজব জীব।' এই পোস্টে কোন প্রযোজক নামোল্লেখ না করলেও কমেন্ট বক্সে জবাব দিতে দেখা গিয়েছে বাংলা ছবির অন্যতম প্রযোজক রাণা সরকারকে (Producer Rana Sarkar)।
জয়জিতের করা পোস্টে তাঁর মন্তব্য, 'আমার কথা বলছো ভাই? অনেক আগেই তোমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম, অফিসে আসতে বলেছিলাম তখন তো পালিয়ে গেলে? আবার ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছো? সাহস থাকে তো এসো সামনাসামনি কথা বলি, সেটা ফেসবুক লাইভে দেখাই সবাইকে? সাহস আছে নাকি আবার পালিয়ে যাবে?' এমনকি সেই প্রযোজকের আরও মন্তব্য, 'পালিয়ে গেলে তোমাকে সবাই আজব জীব বলবে এবার, বুকনি না মেরে চ্যালেঞ্জ accept করো।' অভিনেতার ফেসবুক পোস্টে এই বাকবিতণ্ডার মধ্যেই পৃথক একটি ফেসবুক পোস্ট করেন প্রযোজক। সেই পোস্টে জয়জিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা পোস্টের স্ক্রিনশটও দিয়েছেন রাণা সরকার।
তাঁর পোস্টে জয়জিতের উদ্দেশে লেখা, 'আর পারলো না মিথ্যেগুলো সামলাতে, আমাকে ব্লক করে দিলো জয়জিৎ ব্যানার্জী। আমি চ্যালেঞ্জ করলাম পালিয়ে গেলো। ওনার পরিবারের লোক বাংলাদেশের নায়ক শাকিব খানের ৩০ লাখ টাকা মেরে দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন, কেউ শাকিব খানকে জিজ্ঞেস করুন জানতে পারবেন।... tagging Shakib Khan। তারপরও বড় বড় কথা, আজব লোক 👎🏿 স্ক্রিনশটগুলো থাকলো আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।... এসব মিথ্যেবাদী অভিনেতা নিয়ে আমাদের জগৎ, কী করে বাংলা সিনেমার ভালো হবে?' Shame on you Joyjit Banerjee 👎🏿
এই পোস্টের কিছুক্ষণের মধ্যেই পাল্টা জবাব আসে জয়জিতের তরফে। তিনি আবার লিখেছেন, 'পালাইনি। কে কার টাকা মারে সে সব্বাই জানে। আর ব্লকও করিনি। না হলে তোমার এই ঘৃণ্য দিকটা দেখতে পেলাম কি করে। ছি:। এবার ব্লক করবো। তোমার প্রোফাইলের লোক তোমাকে গালি দেয় তাতেও লজ্জা লাগে না। আজব জীব। যা ইচ্ছে বানিয়ে বোলো হবে এসে যায় না কোথায় আছে না কে কি বলে...।
ফের মনখারাপ বাংলা সিনে দুনিয়ায়। বিশ্ববরেণ্য পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) 'জন অরণ্য' (Jana Aranya) ছবির অভিনেতা প্রদীপ মুখোপাধ্যায় (Pradip Mukherjee) ভেন্টিলেশনে। পরিবার সূত্রে খবর গুরুতর অসুস্থ হয়ে গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি রয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, ফুসফুসে সংক্রমণ এবং নিউমোনিয়া-সহ বেশকিছু শারীরিক সমস্যা ধরা পড়েছে অভিনেতার।
পরিচালক নির্মল চক্রবর্তীর ছবি ‘দত্তা’র শ্যুটিং করছিলেন অভিনেতা। দু’দিন শ্যুটিংও করেন। তারপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। প্রথমে নাগেরবাজারের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু বর্তমানে দমদম ক্যান্টননেন্ট মিউনসিপ্যাল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত ২২ অগাস্ট ওই হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। জানা গিয়েছে, তখন থেকেই শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না প্রদীপের। বর্তমানে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রয়েছেন প্রবীণ অভিনেতা। অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শনিবার যাও কিছুটা সাড়া দিচ্ছিলেন রবিবার সেটাও দিচ্ছে না বলে খবর। অভিনেতার অসুস্থতার খবরে উদ্বিগ্ন টলিপাড়া। তাঁর আরোগ্য কামনা করছেন শিল্পীদের একটা অংশ।
১৯৭৬ সালে সত্যজিৎ রায়ের 'জন অরণ্য' ছবির হাত ধরে অভিনয় কেরিয়ার শুরু করেছিলেন প্রদীপ মুখোপাধ্যায়। এরপর একের পর এক সিনেমাতে কাজ করেছেন। কলকাতার চোরবাগান এলাকার এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেন তিনি। নিয়মিত তপন থিয়েটারে একের পর এক নাটক করতেন। আইনে স্নাতক হওয়ার পর আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। তবে সপ্তাহান্তে নাটকের রিহার্সাল করতেন নিয়ম করে।
প্রসূন গুপ্ত: এক সময়ে শোনা যেত উত্তমকুমার খুব খাদ্যরসিক ছিলেন। খুব যে একটা পেটভরে খেতেন এমন নয়, কিন্তু নানা স্বাদের খাওয়ার অল্প অল্প করে খেতেন। তাঁর স্টুডিওর খাবারের প্রতি খুব একটা ঝোঁক ছিল না। স্টুডিওতে শুটিংয়ের ফাঁকে বারবার ভাঁড়ের চা খেতেন। মহানায়কের দুপুরের খাবার আসতো তাঁর ময়রা স্ট্রিটের বাড়ি থেকে। নিজে হাতে রান্না করে ডেচকি ভরে খাবার পাঠাতেন সুপ্রিয়া দেবী। কোনও দিন ইলিশ মাছ, কখনও চিংড়ি, কখনও চিকেনের পাতলা ঝাল ঝোল। উত্তমবাবু একা খেতেন না, অন্য শিল্পীদের সঙ্গে ভাগ করে খেতে ভালোবাসতেন। সুপ্রিয়া দেবী যেহেতু পূর্ববঙ্গের মেয়ে ছিলেন, তাই তাঁর হাতের বাঙাল রান্নার উপর ঝোঁক ছিল উত্তমের।
এ ছাড়া প্রায় রাতে জমিয়ে ডিনার চলতো বিদেশী স্কচ সহযোগে। বিকেলের দিকে শুটিংয়ের পরে তিনি কখনও ভবানীপুরের বাড়িতে গেলে স্থানীয় এক তেলেভাজার দোকান থেকে তেলেভাজা আসতো। মুড়ি লঙ্কা ও চা সহযোগে তাই জমিয়ে খেতেন। কিন্তু আজকের দিন উত্তমকুমারের নয়, রাজ কাপুরদেরও নয়।
রাজ কাপুরদের ট্র্যাডিশন ছিল মাসের ৩০দিন ৩০ রকমের ডিশের। সেই প্রথা আজ তাঁর নাতি-নাতনি রণবীর, করিশ্মা বা করিনা, কেউ মানেন না। আজকাল অভিনেতারা শরীর সচেতন। বহু অভিনেতা আছেন যাঁরা মদ সিগারেট কিছুই খান না। যেমন অক্ষয় কুমার শুধু ফলের রস ও একটি টোস্ট খেয়ে কাজে বেরিয়ে যান। দুপুরে সামান্য সেদ্ধ চিকেন এবং ফল। রাতের খাবার যে ভাবেই হোক ৮টার মধ্যে সেরে ফেলবেনই আর সাড়ে ৮টার মধ্যে ঘুম। ডিনারে সেদ্ধ সবুজ সবজি, একটি রুটি, কখনও আবার চিকেন রোস্ট।
শাহরুখ খানের পছন্দ আবার রোস্ট করা মাংসের দিকে, কিন্তু মোটেই ভাজাভুজি নয়। আজকের নায়ক নায়িকারা ভাজাভুজি একেবারেই খান না। কেউ কেউ খিচুড়ি খেতে ভালোবাসেন। গ্রিল্ড ফিশারের প্রতি আকর্ষণ অনেকের আছে। রানী মুখার্জি তো জানিয়েছেন তাঁর প্রিয় খাদ্য মাছের ঝোল। দক্ষিণ ভারতীয় শিল্পীরা কিন্তু ভাত বা চাল-ডাল সহযোগে খেয়ে থাকেন রসম টক দই। আসলে কোটি কোটি টাকার মালিক চলচিত্রশিল্পীরা খাওয়া নিয়ে সময় নষ্ট করতে চান না।